মেঘনায় দুটি লঞ্চের সংঘর্ষে মা-শিশুর মৃত্যু, আটক ২

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ঘন কুয়াশায় চাঁদপুরের মেঘনায় দুটি লঞ্চের সংঘর্ষে এক মা ও তার শিশু মারা গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৮ যাত্রী। ঘটনার পর আহতদের লঞ্চে প্রাথমিক চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা ছিলো না বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। বিলাসবহুল লঞ্চটিতে মেডিকেল সার্ভিস রুম থাকলেও তা ভাড়া দিয়ে রাখার প্রমাণ মিলেছে। এ ঘটনায় ফারহান-৯ লঞ্চের দুই কর্মচারীকে পিরোজপুর থেকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে দুর্ঘটনাকবলিত কীর্তণখোলা-১০ লঞ্চটি এসে পৌঁছায় ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। এসময় হতাহতদের স্বজনরা লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানান।

যদিও যাত্রীদের এসব অভিযোগ মিথ্যা বলছে, লঞ্চ মালিকপক্ষ। তবে বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা বলছে তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে অভিযুক্ত লঞ্চমালিকদের বিরুদ্ধে।

বিআইডব্লিউটিএয়ের যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবির বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সেভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে, আর যদি কুয়াশা না থাকে লঞ্চের মাস্টারের যদি বেপরোয়া পরিচালনার কারণে হয়ে থাকে সেটাও দেখা হবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে বরিশাল থেকে কীর্তণখোলা-১০ লঞ্চটি যাত্রী নিয়ে ঢাকা উদ্দেশে ছেড়ে আসে। চাঁদপুরের কাছাকাছি পৌঁছালে ঘন কুয়াশার কারণে লঞ্চটি চরে আটকে যায়। কিছুক্ষণ পর ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ভান্ডারিয়ার হুলারহাটগামী ফারহান-৯ নামে একটি লঞ্চ, আটকে পড়া কীর্তণখোলাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই কীর্তণখোলা-১০ লঞ্চের এক পাশের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। এসময় ঘুমিয়ে থাকা মা ও তার শিশু সন্তান মারা যায়। আহত হয়েছেন আরো ২ যাত্রী। ফারহান-৯ লঞ্চের ৬ যাত্রীও আহত হন।

যাত্রীরা ট্রিপল নাইনে কল করলে নৌপুলিশের সহায়তায় কীর্তণখোলা-১০ লঞ্চটি চাঁদপুর লঞ্চঘাটে পৌঁছালে আহতদের সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে দুর্ঘটনায় লঞ্চে আহত যাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসা না দেয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যাত্রীরা। দুই লঞ্চের তলদেশ অক্ষত থাকায় বড় ধরণের প্রাণহানির রক্ষা পাওয়া গেছে।