মৃত্যুপুরী যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় ২৩ হাজারের বেশি করোনায় আক্রান্ত

মহামারী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যায় কিছুতেই লাগাম টেনে ধরতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র।

প্রতিদিনই নতুন করে উদ্বেগজনক হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আরও ২৩ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে তথ্য দিয়েছে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়। এদিন মারা গেছে ১ হাজার ৫১৮ জন।

সেই হিসাবে এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ২৩ হাজার ২৮৫ জন। মোট মৃত্যু ৯৩ হাজার ৪৩৯ জন।

তবে আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারসে দেয়া সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার সকালে নতুনভাবে আক্রান্ত হয়েছে ৩১৬ জন। এখন পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ৯৩ হাজার ৩৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশটিতে ৯৪ হাজার ৯৪১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ৭০ হাজার ৮১২ জন। হাসপাতালে ও হোম কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসাধীন ১১ লাখ ২৭ হাজার ২৮৬ জন। এদের মধ্যে ১৭ হাজার ৮১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ পর্যন্ত দেশটিতে এক কোটি ৪১ লাখ ৭৩ হাজার ৮০৭টি নমুনা পরীক্ষায় এসব তথ্য মিলেছে। বিশ্বে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি করোনা টেস্ট হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রেই। বিষয়টিতে গর্ব ও সম্মানের মনে করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বে সর্বাধিক করোনা শনাক্ত হওয়াকে সম্মান হিসেবে দেখছি আমি। কারণ এটি একটি ভালো লক্ষণ। এর মানে আমাদের এখানে পরীক্ষা অনেক ভালো ও দ্রুতগতিতে হচ্ছে। তাই এত শনাক্ত হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত মহামারী করোনার প্রবল গ্রাসে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়েছে। তবে করোনা সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালিয়েছে জনবহুল নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে। নিউইয়র্কে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দেশ রাশিয়ার চেয়েও বেশি।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যা অনুযায়ী, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৬৪ হাজার ২৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এতে মারা গেছে ২৮ হাজার ৭৫৮ জন। ২ লাখ ৭২ হাজার ৪৮৪ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে নিউজার্সি। সেখানে ১ লাখ ৫২ হাজার ৯৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ১০ হাজার ৭৪৭ জন।

এদিকে ম্যাসাচুসেটসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৮৮ হাজার ৯৭০ জন এবং ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে ৮৫ হাজার ৮৯৩ জন।

এ দুই অঙ্গরাজ্যে এখন পর্যন্ত মারা গেছে যথাক্রমে ৬ হাজার ৬৬ জন ও ৩ হাজার ৫১২ জন।