মূলধন নিয়ে শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নির্দিষ্ট সুদে ব্যাংকে পুঁজি সঞ্চয়ের পরিবর্তে শেয়ার কিনে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেন অনেক বিনিয়োগকারী। কিন্তু পুঁজিবাজারে মন্দাবস্থা ও টানা নিম্নমুখিতার কারণে তাঁরা এখন মূলধন হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন। মুনাফা তো দূরের কথা, এখন মূলধন ফেরত পেলে হয়। আর ক্রমাগত নিম্নমুখী বাজারে লোকসান হলেও শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন তাঁরা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, বাজারে বড় বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ নেই বললেই চলে। ছোট বিনিয়োগকারীরা অব্যাহতভাবে শেয়ার বিক্রি করছেন। বর্তমান বাজারে শেয়ারের দাম কম হলেও কেনার মতো ক্রেতা কম। আর শেয়ার কেনার চাপ না থাকায় অব্যাহতভাবে বাজার পড়েই চলেছে।

বিনিয়োগকারী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পুঁজিবাজার অস্থির হলেও দেখার কেউ নেই। নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভূমিকাও তেমন চোখে পড়ছে না। স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করলেও কার্যত তা কোনো কাজে আসছে না। বরং গত ২ জানুয়ারি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালের সঙ্গে ডিএসইর বৈঠকের পর বাজারের পতন আরো ত্বরান্বিত হয়েছে।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বলছেন, পুঁজিবাজারে ক্রমাগত নিম্নমুখিতায় শেয়ারের দাম ব্যাপকভাবে কমে গেছে। এর ফলে মূলধন আটকে বিনিয়োগ সক্ষমতা কমেছে। বাজার সাপোর্ট দিতে সরকারের স্বল্প সুদে ফান্ড চাওয়া হয়েছে। এই ফান্ড পেলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর সক্ষমতা বাড়বে। তবে সে বিষয়েও কোনো অগ্রগতি নেই।

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান-উর রশীদ  বলেন, ‘পুঁজিবাজারে মূল সমস্যা আস্থাহীনতা। মূলধন নিয়ে শঙ্কার মধ্যে পড়েছে বিনিয়োগকারী। অনাস্থার কারণে সবাই শেয়ার বিক্রি করছে। কিন্তু যারা বড় বিনিয়োগকারী তারাও শেয়ার কিনছে না।’ তিনি বলেন, ‘কম্পানির শেয়ার দাম ইস্যু মূল্যে নেমে গেছে।’

পুঁজিবাজারে এখন আস্থার সংকট

আবু আহমেদ, পুঁজিবাজার বিশ্লেষক

পুঁজিবাজারে এখন আস্থার সংকট। নানা কারণে অনাস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আস্থার সংকট কাটাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। বাজারকে সাপোর্ট দিতে হবে। বিটিআরসির সঙ্গে গ্রামীণফোনের দ্বন্দ্বের জেরে পুঁজিবাজারে অস্থিরতা বেড়েছে। বকেয়া আদায় নিয়ে ঝামেলা এতদূর কেন গেল? এটা তালিকাভুক্ত কম্পানি। অনেক বিনিয়োগকারীর স্বার্থ জড়িত। এই কথা কেউ একবারও ভাবল না। গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম কমতে কমতে তলানিতে নেমে গেছে। এ বিষয়টির দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।