প্রথম ইনিংসে অর্ধশতক তুলে রিভার্স সুইপ খেলে অনেকটা আত্মাহুতি দিয়ে ফিরেছিলেন মুশফিকুর রহিম।
দ্বিতীয় ইনিংসেও পারলেন না দলের জন্য কিছু একটা করতে। ওয়ারিক্যানের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হলেন। ফিরলেন ১৪ রানে।
ওয়ারিক্যানের বলটা উইকেটরক্ষক জসুয়ার হাতে ধরা পড়তেই ক্যাচ আউটের আবেদন করেন ফিল্ডাররা। আম্পায়ার আঙুল তুলেন। কিন্তু মুশফিক রিভিউ নেন। মুশফিকের ধারণা ব্যাট মাটিতে লেগেছে বলে আওয়াজ হয়েছে। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায়, বল ঠিকই ব্যাটে লেগে জসুয়ার গ্লাভসবন্দি হয়েছে।
মুশফিকের বিদায়ের পর মুমিনুলের সঙ্গী হতে নামেন মোহাম্মদ মিঠুন। এবারও ব্যর্থ তিনি।
যদিও শুরুটা দুর্দান্ত ছিল তার। মাঠে নেমেই কর্নওয়ালকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ডিপ স্কয়ার লেগে ছক্কা মেরে শুরু করেন মিঠুন।
কর্নওয়ালের লেন্থ বলে নেওয়া টার্ন বুঝলেনই না মিঠুন। বোনারের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন তিনিই। ১২ বলে ১০ রান করেন এ মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেট খুঁইয়ে ১১৬ রান।
জয়ের জন্য বাংলাদেশের আরও দরকার ১১৫ রান। অপরপ্রান্তের সঙ্গীরা দ্রুত আউট হয়ে যাওয়ায় ব্যাট অনেকটা থেমে আছে তার। ৪৮ বল খেলে ১২ রানে অপরাজিত অধিনায়ক। তাকে সঙ্গ দিতে নেমেছেন প্রথম ইনিংসে ফলোঅন এড়ানোর নায়ক লিটন দাস। ৭১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। মিরাজের সঙ্গে দুর্দান্ত জুটি গড়েছিলেন।
দিনের বাকিটা সময় মুমিনুল-লিটনে ভর করেই চলতে হবে। নয়তো ১১৫ রান সংগ্রহ করার আগেই মুখ থুবড়ে পড়বে বাংলাদেশের ইনিংস।
সুত্রঃ যুগান্তর