টিকা নিতে ব্যথা পাইনি, বোঝাও যায়নি : তাপস

কোভিড-১৯ থেকে ‍সুরক্ষায় ভ্যাকসিন নিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।  টিকা নিয়ে তিনি বলেছেন, টিকা নেওয়ার পর কোনো অসুবিধা হয়নি, ব্যথাও পাইনি, বুঝাও যায়নি।

আজ  রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মহানগর জেনারেল হাসপাতালে সস্ত্রীক করোনাভাইরাসের টিকা নেন শেখ ফজলে নূর তাপস।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আজকে আমি এবং আমার স্ত্রী টিকা নিলাম। খুবই ভালো লাগলো। কোনো অসুবিধা হয়নি। কোনো ব্যাথা লাগেনি, টেরও পাইনি।  কথা বলতে বলতেই টিকা দেওয়া হলো। খুবই সুচারুরূপে আমাদের প্রশিক্ষিত নার্স এই টিকা দিয়েছেন।

এ সময় সবাইকে দ্রুত নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে করে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান ডিএসসিসি মেয়র।  বলেন, আমি সবাইকে আগেও নিবেদন করেছি, আবারও সবাইকে আহ্বান করব।  আপনারা সবাই নির্ভয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে যথাসময়ে টিকা নিয়ে নিন। এই টিকা নেওয়ার মাধ্যমে আমরা সম্পূর্ণরূপে করোনা মুক্ত হতে পারব এবং করোনাকে জয় করব।

গত বৃহস্পতিবার কোভিড-১৯ টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেন জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, প্রথমত তো ৫৫ বছরের ঊর্ধ্বে যারা ছিলেন তাদেরকে দেওয়া হয়েছিল, পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে যখন ৪০ বছর থেকে উন্মুক্ত করা হলো, তখন আমি নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি।  আজ আমি এবং আমার স্ত্রী টিকা নিলাম।

এখানে আসার পর সার্ভার-ডাউন আছে জেনেছেন জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, এটাতো কারিগরি প্রক্রিয়াগত বিষয়। আমাকে পরিচালক বলেছেন – ইনশাল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে। আমি আশা করব যে, যত দ্রুত সম্ভব এটি যেন ঠিক হয়ে যায়। কারণ এরই মাঝে টিকা গ্রহণে মানুষের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। সবাই ভিড় করছে। সুতরাং, অযথা যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেটা লক্ষ্য রাখা বাঞ্ছনীয়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় অন্য যে হাসপাতালগুলো আছে, প্রয়োজন হলে সেখানেও টিকা কার্যক্রম স্থানান্তর করা হবে বলেও জানান মেয়র।

নিবন্ধন প্রক্রিয়া নিয়ে কোন অভিযোগ পাচ্ছেন কিনা – সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন হয়ে গেছে। সুতরাং, সবাই কিন্তু এই প্রক্রিয়াটা জানে। আর যেহেতু প্রক্রিয়াটা বাংলায়, সুতরাং, সবাই সহযোগিতা নিতে পারছে। এছাড়া ওয়ার্ডভিত্তিক নিবন্ধন বুথ করা হচ্ছে। আমাদের রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অভিযোগ পাইনি।  আমরা আশা করছ, সুষ্ঠুভাবেই হচ্ছে। আর টুকটাক যেসব কারিগরি সমস্যা হচ্ছে, সেগুলো সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

পরে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী এবং তার সহধর্মিণী কাজী উম্মে সালমা মহানগর জেনারেল হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকা নেন।

উল্লেখ্য সকালে মহানগর জেনারেল হাসপাতালে ডিএসসিসি মেয়রের সহধর্মিণী আফরিন তাপস কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণের পরপরই ডিএসসিসি মেয়র টিকা নেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে মহানগর জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রকাশ চন্দ্র রায়, ডিএসসিসি সচিব আকরামুজ্জামান, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ