মুফতি হান্নানসহ পাঁচ জঙ্গির চূড়ান্ত রায় আজ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার ঘটনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ পাঁচ জঙ্গির চূড়ান্ত রায় আজ মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে।

 

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্ব চার সদস্যর বেঞ্চে এ রায় ঘোষণা করবেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মির্জা হোসাইন হায়দার ও বিচারপতি বজলুর রহমান।

 

আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে গতকাল সোমবার রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

 

এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মুফতি আবদুল হান্নানসহ তিন জঙ্গির ফাঁসির দণ্ডাদেশ এবং দুজনকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়।

 

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মুফতি আবদুল হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ও দেলোয়ার হোসেন। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মুফতি হান্নানের ভাই মহিবুল্লাহ ও মুফতি মঈন উদ্দিন।

 

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ, মোহাম্মদ আলী ও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হাসনা বেগম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর।

 

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হজরত শাহজালারের (রহ.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর উপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন।

 

ঘটনার দিন অজ্ঞাতপরিচয় আসামির বিরুদ্ধে মামলা করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৩১ জুলাই মুফতি হান্নানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর সম্পূরক অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালের নাম অন্তর্ভুক্ত করে অভিযোগ গঠন করা হয়।

 

বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এ ছাড়া মামলার অন্য দুই আসামি মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ এবং মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।

 

নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হলে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে। পাশাপাশি ২০০৯ সালে জেল আপিলও করা হয়। প্রায় সাত বছর পর গত ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।

সূত্র: এনটিভি