মুক্তি পেয়ে সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন মাহিয়া মাহি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা মামলায় ৬ ঘন্টা কারাভোগের পর মুক্ত হয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। শনিবার রাতে গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে মাহি গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান। এরপর তিনি গাজীপুরে চান্দনা চৌরাস্তার তেলিপাড়ায় একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মাহিয়া মাহি বলেন, আমি কারাগারের ভেতরে অনেক শান্তিতে ছিলাম। আমাকে যখন বিমান থেকে নিয়ে আসে তখন ইমিগ্রেশনের পুলিশ আমাকে কারও সঙ্গে কথা বলতে দেবে না, পুরো এয়ারপোর্ট ফাঁকা হয়ে গেছে।

মাহিয়া মাহি আরও বলেন, আমি ভীতসন্ত্রস্ত। আমি মাহিয়া মাহি আমাকে যে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। আমাকে একটা গাড়িতে আনা হয়েছে সেটা অনেক গরম ছিল। আমি ঠাণ্ডা পানি চাচ্ছিলাম। একটু পরপর আমার তৃষ্ণা পাচ্ছিল। তারা একটা পানি কিনে দিতে এক ঘণ্টা সময় নিয়েছে।

তিনি বলেন, আমি নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে মানবিকতা পাইনি। আমার স্বামী দেশে আসলে, তার বিরুদ্ধেও তো এই মামলাটা আছে। তার সঙ্গে কি হবে? আমি আমার স্বামীর নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।

মাহিয়া মাহি বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যেই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই দেশে একজন পুলিশ কমিশনার একটা অন্যায় করে পার পেয়ে যেতে পারবেন না। আমি সব সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে জানাতে চাই, আমি কিন্তু পুলিশ বাহিনিকে নিয়ে কথা বলি নাই। আমার অনেক পুলিশের সঙ্গে পরিচয় আছে। অনেক ফোর্সের প্রধানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা অনেক নাইস। আমি শুধু একজন ব্যক্তির কথা বলছি বারবার, যিনি মোল্যা নজরুল। আমি তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলেছি। আমি কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে যাইনি।

সৌদি আরব থেকে ওমরাহ শেষে সকালে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরে দুপুর দেড়টার দিকে তাকে গাজীপুরের আদালতে তোলা হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন মহানগর হাকিম মো. ইকবাল হোসেন। তবে সন্ধ্যায় অন্তঃসত্ত্বা এই চিত্রনায়িকার জামিনের আদেশ দেন একই বিচারক। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা কারাবাসের পর রাতে তার তিনি মুক্তি পান।

জেল থেকে বের হয়ে মাহিয়া মাহি গাজীপুরের ভোগড়া চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় স্বামী রাকিব সরকারের বাসায় গেছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে শুক্রবার তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দুটি করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। ওই দিন রাতে বাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রোকন মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

এ ছাড়া জমিদখলের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হুকুমের আসামি করে আরও একটি মামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন।