মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়কের নামকরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে: লিটন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে আগামীতে নগরীর স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আরো আড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়কের নামকরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। রাজশাহী মহানগরীকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা চাই।

আজ শনিবার বিকেলে নগর ভবন প্রাঙ্গনে মহানগরীতে বসবাসরত খেতাবপ্রাপ্ত, যুদ্ধাহত, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যগণকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র লিটন এসব কথা বলেন।

মেয়র লিটন বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আপনাদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) সম্মান মানেই রাজশাহী মহানগরবাসীর সম্মান, আপনাদের সম্মান মানেই রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সম্মান। আপনাদের সম্মানিত করতে পারলে বর্তমান প্রজন্ম গৌরবান্বিত হবে।


অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাওগাতুল আলম। বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক বীর বিক্রম, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর কুতুবুল আলম, বীর মুুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন প্রামানিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুর রহমান রাজা।

অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর হামিম রিজভী বীরপ্রতিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক বীর প্রতীককে মরণোত্তর ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান টুনু বীর প্রতীক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক বীর বিক্রম, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুর রহমান রাজা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এ্যাড. সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাদী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, যুদ্ধকালীন চীফ মেডিক্যাল অফিসার ৭নং সেক্টর সাব সেক্টর-৪ ডাঃ মুহাম্মদ ইমদাদুল হককে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে তাঁদের ক্রেস্ট ও সম্মানী প্রদান করা হয়।


অনুষ্ঠানে রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ সরিফুল ইসলাম বাবুসহ অন্যান্য কাউন্সিলরবৃন্দ, সচিব আবু হায়াত রহমতুল্লাহ, প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মামুন ডলারসহ গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও সকল শহদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় প্রায় সাড়ে ছয় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধাদের এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এর আগে দুপুর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা নগর ভবনে জড়ো হতে থাকেন। প্রত্যেককে রাসিক মেয়ররে পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।