মুকুলে মুকুলে ছেয়েছে গোদাগাড়ীর আমবাগান

আব্দুল বাতেন, গোদাগাড়ী: 
মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে আমের রাজধানী খ্যাত রাজশাহীর জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার প্রতিটি আমবাগান। গাছ ও মুকুলের পরিচর্যায় চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে, এবার গতবারের চেয়ে আমের ভালো ফলন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর গোদাগাড়ী উপজেলায় আমবাগানের পরিমাণ ৫৮০ হেক্টর যা গত বছরের চেয়ে ৬৩০ হেক্টর বেশি এবছর উপজেলার ছোট বড়সহ অধিকাংশ গাছেই মুকুলে ছেয়ে গেছে আবার কোনো কোনো গাছে আমের গুটি বাঁধতে শুরু করেছে।

চলতি মৌসুমে তেমন একটা কুয়াশার দেখা  না থাকায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০ ভাগ বাগানে মুকুল এসেছে। ভাল ফলন পেতে এখন বাগান পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সবাই। আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও ভালো ফলন হবে, এমনটাই আশা বাগানমালিক, আমচাষী ও ব্যবসায়ীদের।

গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোঃ তৌফিকুর ইসলাম জানান, কৃষকদের অর্থকরী ও লাভজনক ফসল হওয়ায় দিন দিন আরও আমবাগানের সংখ্যা বাড়ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে এবার আমের ফলন গতবারের চেয়েও ভালো হবে। আর ফলন ভালো করতে চাষিদের দেয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণসহ নানা পরামর্শ।

আমের বর্তমান সময়ে হালকা বৃষ্টির কারনে বৃষ্টিতে ভিজে মুকুল ও গুটি পড়ে যাওয়া এ্যানথ্যাক্স নজ( ফুসকা রোগ) আক্রান্ত হতে পারে। এমন রোগ দেখা দিলে প্রোপি কণাজল গ্রুপের বা কার্বোজেন ড্রাইজিন পাউডার প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে তবেই নিরাময় হবে।

অন্যদিকে, নিরাপদ আম উৎপাদন ও পরিবেশ রক্ষায় আমবাগান ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রয়োজনের অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে কৃষি অফিস।

স/আ