মিয়ানমারে বন্ধ হল সব বেসরকারি পত্রিকা

বিক্ষোভ দমন করতে এবার সবশেষ বেসরকারি পত্রিকার প্রকাশনও বন্ধ করে দিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। আজ বৃহস্পতিবার দেশটির সর্বশেষ বেসরকারি পত্রিকার প্রকাশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে ইন্টারনেট সেবা আরো সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারবাসীকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করতেই জান্তা সরকার এসব কৌশল নিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপর থেকে দেশটিতে চলছে অভ্যু্ত্থানবিরোধী বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীরা যাতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পারে তার জন্য জান্তা সরকার অনেক এলাকায় এই সেবা সীমিত করে দিয়েছে। পাবলিক প্লেসে ওয়াইফাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণে দাউইসহ কয়েকটি শহরে ইন্টারনেটে সেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেসরকারি তাচিলিক নিউজ এজেন্সি ক্যাবল কাটার ছবি প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের সঙ্গে ফাইবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে এই ক্যাবল কাটা হয়েছে।

জেনেভায় অবস্থিত মার্কিন মানবাধিকার অফিস জানিয়েছে, মিয়ানমারে ৩৭ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে এখনও ১৯ জনকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। বিক্ষোভ শুরুর পরে জান্তা সরকার কয়েকটি পত্রিকা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। অন্যরাও পত্রিকা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। গতকাল বুধবার সর্বশেষ বেসরকারি পত্রিকার ছাপাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

চলমান বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ২১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স (এএপিপি) নামে একটি অধিকার সংগঠন। তবে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ