রবিবার , ১৬ জুন ২০২৪ | ১১ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত দখলে আরও এক ধাপ এগোলো আরাকান আর্মি

Paris
জুন ১৬, ২০২৪ ৩:৫৬ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক : 

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ রাখাইনের সীমান্তবর্তী জেলা মংডু দখলের পথে আরও এক ধাপ এগিয়েছে রাখাইনভিত্তিক জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। গত সপ্তাহে মংডুর ১০টি সেনা ছাউনির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এএ।

আরাকান আর্মির কমান্ডারদের বরাত দিয়ে শনিবার এক প্রতিবেদেন এএফপি জানিয়েছে, সেনা ছাউনিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সময় দুই পক্ষের সংঘাতে নিহত হয়েছেন অন্তত ২০০ জন সেনা। নিহতদের মধ্যে একজন কর্নেলও রয়েছেন।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ভূখণ্ডকে বিভক্ত করেছে যে নাফ নদী, সেই নদীর অপর তীরে মংডুর অবস্থান। মংডু দখলের উদ্দেশ্যে গত মে মাস থেকে সেনা ছাউনি ও পুলিশ স্টেশনগুলো লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা শুরু করে আরাকান আর্মি। সেই হামলার ফলাফলও গোষ্ঠীটির পক্ষে যায়। মে শেষ হওয়ার আগেই মংডু জেলার উত্তরাঞ্চল এবং বুথিডং শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলতে সক্ষম হয় এএ।

আরাকান আর্মির একাধিক কমান্ডার জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে যে ১০টি সেনা ছাউনির দখল তারা নিয়েছেন, সেগুলোর মধ্যে মায়াওয়াদি ট্যাক্টিক্যাল কমান্ড বেস, না খাউং তো সেনা ছাউনি এবং আহ লেল থান কিয়াও সেনা ছাউনিও রয়েছে। মংডু জেলাজুড়ে যত সেনা ছাউনি রয়েছে, সেসবের মধ্যে এ দু’টি ছাউনি শক্তিশালী। যে সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন, সেই কর্নেল তায়জার হিতায়ও মায়াওয়াদি ট্যাক্টিক্যাল কমান্ড বেসে ছিলেন।

আহ লেল থান কিয়াও ও মংডুর একটি শক্তিশালী সেনা ছাউনি। মংডু শহরের প্রবেশ পথে এই ছাউনিটির অবস্থান।

মায়াওয়াদি ট্যাক্টিক্যাল কমান্ড বেস এবং আল লেল থান কিয়াওয়ের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে বিমান অভিযান ও গোলা বর্ষণও করেছে জান্তা বাহিনী। কিন্তু তাতে পরাজয় ঠেকানো যায়নি।

এএফপিকে আরাকান আর্মির কমান্ডাররা বলেন, তাদের অভিযান এখনও পুরোদমে চলছে এবং তারা আশা করছেন, চলতি জুন মাস শেষ হওয়ার আগেই মংডু, অ্যান এবং থান্ডুয়ে শহরের দখল নিতে সক্ষম হবেন তারা। অ্যান রাখাইনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর এবং থান্ডুয়ে দক্ষিণাঞ্চীলয় শহর।

কমান্ডাররা জানিয়েছেন, যে ১০ সেনা ছাউনির দখল নিয়েছেন তারা, সেসব ছাউনির অনেক সেনা পরাজয় আসন্ন বুঝতে পেরে পালিয়ে গেছেন। পালিয়ে যাওয়া সেসব সেনা সদস্যদের ধরতে তল্লাশি চালাচ্ছে এএ যোদ্ধারা। অনেক সেনা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়েছেন বলেও সন্দেহ করছে এএ।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে সেনা বাহিনী। সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন। মিয়ানমারের বর্তমান সামরিক সরকারের প্রধানও তিনি।

জান্তা ক্ষমতা দখলের পরপরই বিক্ষোভ শুরু হয় মিয়ানমারে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে সেই বিক্ষোভের নেতৃত্বে আসে জান্তাবিরোধী বিভিন্ন সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী। ২০২৩ সালে নভেম্বর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় জান্তার বিরুদ্ধে জোটবদ্ধভাবে যুদ্ধে নামে গোষ্ঠীগুলো। সেই যুদ্ধ এখনও চলছে এবং ইতোমধ্যে দেশের এক পঞ্চমাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা।

 

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক