মা-মেয়েকে হত্যা: ৩৫ সেকেন্ডে মিশন শেষ করে খুনিরা

গাজীপুরে মা-মেয়েকে জবাই করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হয়েছেন খুনের মূল পরিকল্পনাকারী মহিউদ্দিন ওরফে বাবু (৩৫) ও তাঁর সহযোগী জাহিদুল ইসলাম খান (২১)। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁরা দুই খুনের মিশন শেষ করেন মাত্র ৩৫ সেকেন্ডে।

শনিবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মা-মেয়ের নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে এসব তথ্য জানান গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ-উত্তর) জাকির হাসান।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বাবু স্বীকার করেছেন, তাঁর ডিভোর্সি স্ত্রীকে বীমার চাকরি দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ফুফু শাশুড়ি ফেরদৌসী বেগমকে (২৮) খুনের পরিকল্পনা করেন তিনি। আর বীমার প্রিমিয়ামের পাওনা টাকা চাওয়ায় ক্ষুব্ধ ছিলেন জাহিদ। খুনের মিশনে জাহিদকেও সঙ্গে নেন বাবু। তবে ফেরদৌসীর মেয়ে তাছমিয়াকে (৪) খুনের পরিকল্পনা ছিল না তাঁদের। চিৎকার করায় মেয়ে তাছমিয়াকেও খুন করেন তাঁরা।

বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ফেরদৌসী ও তাঁর ছোট মেয়ে তাছমিয়ার গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে।

শুক্রবার ভোরে তাঁদের দুজনকে গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি ছুরি, মোটরসাইকেল এবং ফেরদৌসীর হাতব্যাগ।

উপকমিশনার জাকির হাসান বলেন, তিন মাস আগে বাবুর সঙ্গে স্ত্রীর ডিভোর্স হয়। এক মাস পর ভাতিজিকে নিজ গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্সে মাঠকর্মী হিসেবে চাকরি দেন ফেরদৌসী। ডিভোর্সে ফেরদৌসীর ইন্ধনের সন্দেহ, চাকরি দেওয়া এবং জাহিদকে টাকার জন্য চাপ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরা এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটিয়েছেন।

নতুন একটি বীমা করা এবং পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে ফেরদৌসীকে দেশীপাড়ার নির্জন স্থানে ডেকে আনেন খুনিরা। এরপর দুজন দুদিক থেকে ফেরদৌসীর গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। বাইকে ওঠার আগে মেয়ে তাছমিয়ার গলায় ছুরির আঘাত করে খুনিরা পালিয়ে যান।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ