কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের নলুয়া চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক কেন্দ্রে নৌকা ও বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, ওই কেন্দ্রে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারার চেষ্টা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাসেম। তিনি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
আজ রবিবার ( ২৮ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের আবদুর রাজ্জাকের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তখন পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই প্রার্থীকে কেন্দ্রে থেকে চলে যেতে বলেন। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, এই কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ২৮০২ জন। মোট ৬টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। এখানে নৌকা প্রতীকের এজেন্ট থাকলেও আনারস প্রতীকের কোনো এজেন্ট আসেননি। কিন্তু কেন আসেননি তা আমি বলতে পারছি না। সকাল ৯টার দিকে কেন্দ্রে নৌকা ও আনারস প্রতীকের প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহোযোগিতায় দুই প্রার্থীকেই কেন্দ্র থেকে চলে যেতে বলি। এছাড়া ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্বাভাবিক রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
ওই কেন্দ্রের দায়িত্বরত পুলিশের এএসআই মো. শেখ ফরিদ বলেন, নৌকার প্রার্থী আবুল হাশেম কেন্দ্রে ঢুকেই বলেন, নৌকার ভোট ওপেন হবে। তখন আমরা তাকে বলেছি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে এসেছি। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করবোই। এখানে এমন কিছু হতে দেওয়া হবে না। এরপর আমরা দুই প্রার্থীকেই কেন্দ্র থেকে চলে যেতে বলি।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রাজ্জাক মজুমদার বলেন, কেন্দ্রের বাইরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বহিরাগত ক্যাডাররা অবস্থান করছে। তারা ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দিচ্ছেন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নিজেই কেন্দ্রে এসে প্রকাশ্যে সিল মারার হুমকি দিয়েছেন। এই অবস্থায় নির্বাচনের সুষ্ঠু কোনো পরিবেশ দেখছি না। তবে ভোটাররা যদি ভোট দিতে পারে, তাহলে আমার বিজয় সময়ের ব্যাপারমাত্র।
এদিকে, এসব বিষয়ে জানতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল হাশেমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব মিথ্যা অভিযোগ বলে দাবি করলেও অন্য কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সুত্রঃ কালের কণ্ঠ
