মা-ভাইবোনের পর ভেসে উঠল শিশু তাসফিয়ার লাশ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনার সপ্তম দিনে দেড় বছরের শিশু তাসফিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিখোঁজ ১০ জনের লাশই উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে তাসফিয়ার মা ও বড়ভাই বোনসহ ৯ জনের লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে ফায়ার সার্ভিস। তাসফিয়া ফতুল্লার চরমধ্যনগর এলাকার সোহেল মিয়ার শিশুকন্যা।

মঙ্গলবার ( ১১ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ৯টায় ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে তার মরদেহ ভেসে উঠে। নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে বেলা ১১টায় উদ্ধার কাজ সমাপ্ত ঘোষণা করে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধার দল।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন।

ট্রলারডুবির ঘটনায় সাত সদস্য তদন্ত কমিটির প্রধান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফার ফৌরদোস জানান, শিশু তাসফিয়ার লাশ তারা বাবা সোহেলের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এর আগে ৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল।

গত ৫ জানুয়ারি সকালে যাত্রীবাহী ট্রলারটি এমভি ফারহান-৬ এর ধাক্কায় ডুবে যায়। এ ঘটনায় ৯ জানুয়ারি ৬ জনের এবং ১০ জানুয়ারি আরো ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় গত বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর নৌ-নিরাপত্তা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে ঘাতক লঞ্চ এম ভি ফারহান-৬ এর মাস্টার, চালক ও সুকানিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দায়ীত্ব অবহেলার অভিযোগে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন। পরবর্তীতে তাদেরকে গ্রেফতারও করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান (৪০), ইনচার্জ ড্রাইভার জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া (৪০) ও সুকানি মো. জসিম মোল্লা (৩০)। তাদের দায়ীত্ব অবহেলার কারণেই এ দুঘর্টনা ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন