মায়ের জন্মের দুই বছর আগে মেয়ের জন্ম!

মায়ের জন্মের দুই বছর আগে মেয়ের জন্ম। কথাটি শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে এমনটি রয়েছে টাঙ্গাইল ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী গ্রামের মেয়ে রুমা খাতুন ও মা হাছনা বেগমের।

রুমা খাতুনের প্রকৃত জন্ম তারিখ ১৯৯৭ সালের ২০ জানুয়ারি। অর্থাৎ তার বর্তমান বয়স ২৪ বছর। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রে তার জন্ম তারিখ উল্লেখ রয়েছে ২০ জানুয়ারি ১৯৭০। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার বয়স ৫১ বছর।

অন্যদিকে জাতীয় পরিচয়পত্রে রুমা খাতুনের মা হাছনা বেগমের জন্ম তারিখ ১৯৭২ সালের ১৪ মে। বর্তমানে তার বয়স ৪৯ বছর।

অর্থাৎ জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী মা-মেয়ের বয়সের পার্থক্য দুই বছর। মায়ের জন্মের দুই বছর আগে জন্ম হয়েছে মেয়ের। জাতীয় পরিচয়পত্রে সে হিসাবে তার বর্তমান বয়স ২৪ বছর। অথচ জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যমতে তার বয়স ৫১ বছর।

রুমা খাতুনের পিতা রশিদ তালুকদার বলেন, ভোটার আইডি কার্ডে আমার স্ত্রী থেকে আমার মেয়ে বয়সে দুই বছরের বড় হয়ে গেছে। মেয়ের ভোটার আইডি কার্ডে এ ভুল সংশোধনের জন্য অনেক দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নজনের কাছে গিয়েছি। এটা খুব ঝামেলার। যারা এরকম ভুক্তভোগী তারাই শুধু এটা বুঝবে।

ভুক্তভোগী রুমা খাতুন বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য তালিকা করার সময় তথ্য সংগ্রহকারীর অসাবধানতাবশত ভুলের মাশুল আমাকে গুনতে হচ্ছে। এ কারণে নানা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এ নিয়ে নানা সমস্যায় রয়েছি ও বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এমনকি ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে সাম্প্রতিক করোনাকালে করোনার টিকা পর্যন্তও দিতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, আইডি কার্ড সংশোধনে নানা কাগজপত্র সংগ্রহ ও সংশোধন প্রক্রিয়া ঝামেলাযুক্ত হওয়ায় অনেকটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ পর্যন্ত সংশোধনের জন্য আমি আমার অভিভাবকসহ বেশ কয়েকবার উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়েছি। তারা তেমনটা গুরুত্ব দিচ্ছে না।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার নাজমা সুলতানা বলেন, মায়ের চেয়ে মেয়ে বড়! এটি ভোটার আইডির তালিকা করার সময় জনগণের বাড়তি চাপ সামলাতে গিয়ে হয়তো এ রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের সৃষ্টি হয়েছে। তথ্য সংগ্রহ ও ভোটার তালিকা লিপিবদ্ধের কাজে কর্মীদের ভবিষ্যতে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর