মায়ের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

স্বামী দীলিপের মৃত্যুর পরে আঁকড়ে ধরার একমাত্র সম্বল ছিলো দিপক দাস (১৮)। দিপকের উপার্জনে চলতো তিনজনের সংসার। সাত বছরের মেয়ে মিষ্টিকে নিয়ে থাকতেন হাজরাপুকুর ডাবতলা এলাকায়। কল্পনায় আসছে না নিজের ছেলেটিকে কে হত্যা করতে পারে? একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে মেয়ে মিষ্টিকে জড়িয়ে বিলাপ করছেন মা শ্রীমতি দাস।

দিপকের মা শ্রীমতি দাস জানান, ‘বুধবার রাতে বাড়িতে ভাত ছিলো না। তাই দিপককে ১০০ টাকা দেয়। বললাম বাপ তুই বাইরে কিছু খেয়ে নেগা (নিস)। এর পরে দিপক বাইরের দোকানে এসে কিছু খেয়ে, আমাকে ৫০ টাকা ফেরত দেয়। বলে- বাসে ডাকছে আমাকে। আমি গেলাম।’

তিনি আরও জানান, ‘এরপরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে দিপক ফোন দিয়ে বলে মা তুই ঘুমা। আমি ঘুমাবো। এরপরে আর কথা হয়নি। সকালের দিকে ফোন দিচ্ছি তো বন্ধ পাচ্ছি। এরপর শুনি দিপক আর নাই।’

বৃহস্পতিবার দিপকের মরদেহ উদ্ধারের সময় পাশে এমন বিলাপ করছিলেন মা শ্রীমতি দাস। এসময় তিনি আগামির দিনগুলোতে সংসার কিভাবে চলবেন এনিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। এর আগে বাস হেলপার দিপক দাস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে দিপকের মা শ্রীমতি দাস বাদি হয়ে আজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে নগরীর খানকা শরীফ মোড় এলাকার একটি গ্যারেজে থাকা ‘আরপি চ্যালেঞ্জার’ (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-১৩১৬) নামের বাসের ভেতর থেকে মনির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

স/অ

আরো পড়ুন…

রাজশাহী নগরীতে এক ব্যক্তির গলাকাটা লাশ উদ্ধার