সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার ‘বিচার দাবিতে’ সংবাদ সম্মেলন করা সেই মাসুমা আক্তারের শাস্তি চেয়েছেন তার স্বামী।
সোমবার রাতে যুগান্তরকে ইমেইলে পাঠানো এক চিঠিতে আলমগীর নামে ওই ব্যক্তি মাসুমা আক্তারের স্বামী দাবি করে স্ত্রীর শাস্তি দাবি করেন।
চিঠিতে আলমগীরের স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন উল্লেখ করে বলেন, সে আমার কথার অবাধ্য এবং আমার কোনো কথা শোনে না। সে আমার বাসা থেকে গত বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় বেরিয়ে যায়। মাশরাফি ভাইয়ের কোনো সম্মান নষ্ট না হয় সেটাই আমি চাই।
তিনি চিঠিতে লেখেন, মাশরাফি ভাই বাংলাদেশের সম্পদ। আমি তার সঙ্গে আছি। আমি চাই আমার স্ত্রীর কারণে মাশরাফি ভাইয়ের কোনো সুনাম নষ্ট না হয়। আমার স্ত্রীর এমন খারাপ কাজের জন্য স্ত্রীর প্রতি আমার ঘৃণা জন্ম নিয়েছে।
তিনি মাশরাফিকে জড়িয়ে কোনো সংবাদ না প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এ বিষয়ে আপনারা কোনো সংবাদ প্রকাশ করবেন না। আমার স্ত্রীর এ ধরনের খারাপ কাজের জন্য আমি স্বামী হিসেবে তার শাস্তি চাই।
এর আগে সোমবার দুপুরে মাসুমা আক্তার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেন।
মাসুমা আক্তার তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘২০১৫ সালের মে মাসে আমি একটি ফেসবুক আইডি চালু করি। যার সুবাদে আমার আইডি আমার অজান্তে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এখন আমার পাশে বিশ্বের হাজার হাজার কোটি মানুষ আমার মুক্তির অপেক্ষায় আছে।’
‘আমার দেশের ১৬ কোটি মানুষও আমার মুক্তির অপেক্ষায় আছে। কিন্তু আমাকে বের হতে দেয় না মাশরাফি ও এই দেশের অবৈধ ক্ষমতাধারীরা।’
তবে ওই নারী ঠিক কী কারণে মাশরাফির শাস্তি দাবি করছেন, সে বিষয়ে তার লিখিত বক্তব্যে স্পষ্ট করেননি।
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে লড়বেন ক্রিকেটার মাশরাফি। নির্বাচনের আগে এ ধরনের অপপ্রচারের পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কিনা জানতে চাইলে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘এমনটা হতেও পারে। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে হবে।’
এর আগে ২০১৭ সালেও মাসুমা আক্তার নামের এ নারী মাশরাফির বাসার সামনে বিভিন্ন রকম পাগলামি করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওই সময় বিষয়টি নিয়ে পল্লবী থানায় একটি জিডিও করেছিলেন বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের এ অধিনায়ক।
এ ব্যাপারে পল্লবী থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ওই নারীর অসংলগ্ন আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে থানায় একটি জিডি করেছিলেন মাশরাফি।
পরে এ বিষয়ে আমরা অনুসন্ধান শুরু করি। মোবাইলের সূত্র ধরে ওই নারীর খোঁজে সাভার যাই। সেখানে গিয়ে তাকেসহ তার বাবা-মা ও স্বামীকে পাই। তারা জানান, তাদের মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন।
চার-পাঁচ মাস আগে তালাশ টিমও এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে কিছু পায়নি বলে জানান এসআই জাহিদুল।