মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে ‘বাংলাদেশের আল কায়েদা’ প্রসঙ্গ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

মার্কিন কংগ্রেসের এক শুনানিতে উঠে এসেছে বাংলাদেশে আল কায়েদার কার্যক্রম। ওই শুনানিতে এক মার্কিন সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে গিয়ে আরেক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা থেকে যেন যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি সরে না যায়। তার দাবি, এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আল কায়েদা দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের শক্তি পুনরুত্থানের চেষ্টা চালাবে; আর তাদের কার্যক্রম এরইমধ্যে বাংলাদেশে দেখা গেছে।

সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী কৌশলের ওপর কংগ্রেসনাল শুনানি চলার সময় হাউস আর্মড সার্ভিসেস কমিটির সদস্যদের কাছে জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সিকিউরিটি স্টাডিজের পরিচালক ব্রুস হফম্যান এমন উদ্বেগ জানান।

হফম্যান বলেন, আইএস-এর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিবিষ্টতার সুযোগ নিয়ে আল কায়েদা দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের শক্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করছে। আফগানিস্তানে আল কায়েদাকে নতুন করে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে সংগঠনটি তাদের যে ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা গড়েছে তা একেবারে অতর্কিত ছিল। কংগ্রেসম্যান ম্যাক থর্নবেরির করা এক প্রশ্নের জবাবে হফম্যান বলেন, ‘৯/১১ এর পর আফগানিস্তানে পুঁতে রাখা সবচেয়ে বড় অস্ত্রগুলোর একটি ২০১৫ সালের অক্টোবরে আবিষ্কৃত হয়। আল-কায়েদা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ ভারতে তাদের মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এবং এরইমধ্যে আমরা বাংলাদেশ ও বার্মায় (মিয়ানমার) এর কার্যক্রম দেখতে পেয়েছি।

আইএস যখন আজকের বিশ্বের জন্য ভয়াবহ হুমকি আকারে আবির্ভূত হয়েছে, আলকায়েদাও নতুন করে শক্তিশালী হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী যুদ্ধের জন্য নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে তারা। সবমিলে দুই গ্রুপই পশ্চিম ও আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধবস্থা জারি রেখেছে।

আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আইএসকে এখানে থাকতে হবে, অন্তত সুদূর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। ২০১৫ প্যারিস হামলার আগে এটি ইউরোপে অভিযান পরিচালনায় সক্ষম একটি বৈশ্বিক ইউনিট গড়ে তোলে। ওই নেটওয়ার্কের বেশিরভাগ সদস্যই ধরাছোঁয়ার বাইরে। আইএস-এর বিভিন্ন অঞ্চলগত ইউনিট কিংবা নেতৃত্বের বাইরে এরা স্বাধীন ইউনিট হিসেবে কাজ করে।

বিপজ্জনক ব্যাপার হলো, ৭০০০ ইউরোপীয় বিদেশি যোদ্ধা ঘরে ফিরছে। সিরিয়া আর ইরাকে প্রশিক্ষণ নেওয়া ১০০ দেমের ৪০,০০০ মানুষের একাংশ তারা।

তিনি সতর্ক করেন, জঙ্গিরা তাদের কার্যক্রমের সীমানা বিস্তৃত করেছে। মালি-বেনিন-বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ১১ই সেপ্টেম্বরের টুইন টাওয়ার হামলার পর থেকে সবচেয়ে বিপজ্জনক রাজনৈতিক অবস্থায় রয়েছে। কেবল আল-কায়েদা নয়, এখন যুক্ত হয়েছে আইএস-এর হুমকিও।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন