শুক্রবার , ৩১ আগস্ট ২০১৮ | ১৪ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

মারিয়ানো কেনা বেচায় রিয়ালের কত লাভ কত ক্ষতি!

Paris
আগস্ট ৩১, ২০১৮ ১২:২২ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা, বিশ্বের সেরা দুই ক্লাব। তো বিশ্বসেরা এ দুই ক্লাবেরই যুব একাডেমিতে খেলা শেখার সুবর্ণ সুযোগ, খুব কম ফুটবলারই পেয়েছেন। মারিয়ানো দিয়াজ সেই সৌভাগ্যবানদেরই একজন। তবে মারিয়ানোর সৌভাগ্য নিয়ে নয়, এ প্রতিবেদনটা তাকে কেন্দ্র করে রিয়াল মাদ্রিদের লাভ-ক্ষতির হিসাব নিয়ে!

ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর বিকল্প হিসেবে বুধবারই ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে কিনে ফেলেছে রিয়াল। তাকে পুনরায় কেনার মধ্য দিয়ে রিয়ালের লাভ-ক্ষতির হিসাবটা জটিল হয়ে উঠেছে! হ্যাঁ, এ নিয়ে মারিয়ানো দিয়াজকে দু’বার কিনল রিয়াল। স্পেনে জন্ম নেয়া ডমিনিকান এই ফরোয়ার্ডকে রিয়াল প্রথমবার কিনেছিল ২০১১ সালে। চিরশত্র“ বার্সেলোনার কাছ থেকে। এরপর গত বছর তাকে বিক্রি করে দিয়েছিল ফরাসি ক্লাব অলিম্পিক লিঁও’র কাছে। এক বছর যেতেই তাকে আবার কিনে ফেলল রিয়াল এবং সেটাও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো নামের এক সুপারস্টারের বিকল্প হিসেবে।

বার্সেলোনার যুব একাডেমি ‘লা মাসিয়া’ থেকে রিয়ালের যুব একাডেমি ‘ক্যাস্তিয়ায়’ যোগদান। মারিয়ানো ২০১১ সালেই প্রমাণ করেছিলেন, তিনি বড় ভাগ্যবান। ডমিনিকান তরুণ আবারও ভাগ্যবান প্রমাণ করলেন নিজেকে। অখ্যাত থেকে রোনাল্ডোর মতো মহাতারকার ‘বিকল্প’ হিসেবে বার্নাব্যুতে ফেরা, সৌভাগ্যেরই তো।

নেইমার, কিলিয়ান এমবাপ্পে, ইডেন হ্যাজার্ড, হ্যারি কেন, মাউরো ইকার্দি, রবার্ট লেওয়ানডোস্কি-রোনাল্ডোর বিকল্প হিসেবে কত জনকেই তো কেনার চেষ্টা করেছে রিয়াল। শেষ পর্যন্ত নিজ নামে প্রতিষ্ঠিত এই তারকাদের কাউকে না পেয়ে রিয়াল রোনাল্ডোর বিকল্প হিসেবে ঘরে তুলল নিজেদেরই ঘরের ছেলেকে। অলিম্পিক লিঁও থেকে তাকে কিনে আনল ৩০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে।

চুক্তিটা হয়েছে পাঁচ বছরের জন্য। নতুন করে এই চুক্তির মধ্যদিয়েই সামনে উঠে এসেছে মারিয়ানোকে কেনা-বেচায় রিয়ালের লাভ-ক্ষতির বিষয়টি। আর সেই হিসাব বলছে, মারিয়ানো কেনা-বেচায় রিয়ালের লাভের চেয়ে ক্ষতির অঙ্কটাই বড়। বিশেষ করে টাকার অঙ্কের ভিত্তিতে।

২০১১ সালে বার্সেলোনা থেকে তাকে রিয়াল কিনে এনেছিল মাত্র ৪০ হাজার ইউরো দিয়ে। ছয় বছর লালন-পালন করে এবং সেবা নেয়ার পর ২০১৭ সালে তাকে লিঁও’র কাছে বিক্রি করে আট মিলিয়ন ইউরোয়। মানে ছয় বছর পেলে-পুষে রিয়ালের লাভ হয় ৭.৬ মিলিয়ন ইউরো।

কিন্তু এক বছর পরই সেই মারিয়ানোকে নিয়ে রিয়ালকে গুনতে হল ৩০ মিলিয়ন ইউরো। মানে পুনরায় কিনতে রিয়ালের ক্ষতি ২২ মিলিয়ন ইউরো। সব মিলে মারিয়ানোকে কেনা-বেচা-কেনায় রিয়ালের ক্ষতি ২২.৪ মিলিয়ন ইউরো!

কি, অঙ্কটা বুঝলেন না? দুই দফায় মারিয়ানোকে কিনতে রিয়ালের মোট খরচ ৩০.৪ মিলিয়ন ইউরো। বিক্রি করে পায় আট মিলিয়ন ইউরো। তবে ২২.৪ মিলিয়ন ইউরোর ক্ষতির বিনিময়ে রিয়াল মারিয়ানোর কাছ থেকে ১১ বছরের সেবা পেতে যাচ্ছে। প্রথম দফায় ছয় বছর সেবা পেয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী আরও পাঁচ বছর সেবা পাবে।

আগামী পাঁচ বছরে কেমন সেবা পায়, সেটা দেখার পরই বোঝা যাবে মারিয়ানোকে কেনা-বেচার খেলায় রিয়ালের লাভ নাকি ক্ষতি!

 

সর্বশেষ - খেলা