সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
এবার মামলা হলো পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সামনে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় টলিউড ও বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার কলকাতার বউ বাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে মিঠুনের বিরুদ্ধে।
এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিজেপির একটি সভায় মিঠুনের উসকানিমূলক মন্তব্যের জেরে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
যদিও নিরাপত্তার স্বার্থে অভিযোগকারীর নাম গোপন রাখা হয়েছে।
মিঠুনের মন্তব্যের জেরেই ওই এফআইআর করা হয়েছে। সিনেমার পর্দায় মিঠুনের মারকাটারি সংলাপ দশকের পর দশক দর্শকদের বিনোদন দিয়েছে। কিন্তু বাস্তব জীবনেও সেই ধরনের সংলাপসংবলিত রাজনৈতিক বক্ততা দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন ফাটাকেষ্ট।
বিজেপির সেই সভায় মিঠুন বলেছিলেন, ‘আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সামনেই বলছি, যা করতে হয় সব করব। এসব কিছুর মধ্যে অনেক অর্থ লুকিয়ে রয়েছে। আমাদের এখানকার এক নেতা বলেন, ৭০ শতাংশ মুসলিম, ৩০ শতাংশ হিন্দু। কেটে ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেব।
ভাবলাম, মুখ্যমন্ত্রী তাকে কিছু বলবেন। এমন কথা না বলতে বলবেন। কিছু হলো না। আমি মুখ্যমন্ত্রী নই। কিন্তু বলে রাখছি—ভাগীরথী নদী আমাদের মা।
তাই ভাগীরথীতে কেটে ভাসিয়ে দেব না। কিন্তু তোমার মাটিতেই তোমাকে পুঁতে দেব!’
এ অভিনেতা আরো বলেছিলেন, ‘বারবার বলছি, যা করতে হয় সব করব। এমন সদস্য চাই, যারা বুক চিতিয়ে বলবেন, মার! কত গুলি আছে দেখি! এমন কর্মী চাই না, যারা টাকা নিয়ে কাজ করেন। এমন করলে আপনারা তৃণমূলে চলে যান।’
তিনি বলেন, ‘আমি বলে যাচ্ছি, আপনারা আমাদের বাগানের একটা ফল যদি ছিঁড়েন, আমরা চারটা ছিঁড়ব। এটা সত্যি। নইলে জিততে পারব না।’
ভোটারদের মধ্যে হিন্দু-মুসলিমসংক্রান্ত মন্তব্য করে মিঠুন আরো বলেন, ‘এটা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী বলছে না। ১৯৬৮ সালের ২৮ বছর বয়সী মিঠুন বলছে। রাজনীতি করেছি। রক্তের রাজনীতি করেছি। সব জানি, কে কোথা থেকে কী করবে। আপনাদের পাশে চাই। সাহস চাই। বুক চিতিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।’
সূত্র: কালের কণ্ঠ