মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের জালিয়াতি, একই স্মারকে তিনটি চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর দূর্গাপুরে নান্দীগ্রাম দারুস সালাম আলিম মাদসারায় জালিয়াতির মাধ্যমে একই স্মারক তিনিটি চিঠি প্রদান করেছে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড। গত ২৪ সেপ্টেম্বর একই স্মারক নম্বরে (বামাশিবো/প্রশা/৩২৬১৭১২৬৬৪৪১/৯৭৩/নথি নং-১২৯) তিনটি চিঠি প্রদানের ঘটনা ঘটে। যা নজিরবিহীন। এর মধ্য দিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন হয়েছে।

সূত্র মতে, গত ০৬ আগস্ট এক মাদরাসা শিক্ষকের রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রায় প্রদান করে যে, কোন শিক্ষককে দুই মাসের বেশি সাসপেন্ড রাখা যাবে না এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কোন অফিসিয়াল দালিলে (কাগজপত্র) স্বাক্ষর করতে পারবে না। হাইকোর্টের এই রায় মেনে শিক্ষা মন্ত্রাণালয় পরিপত্র জারি করে।

এরই প্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কিংবা এরূপ দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে শিক্ষাবোর্ড চিঠি ইস্যু করতে পারে না। অধ্যক্ষ ব্যতিত অন্য কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে চিঠি ইস্যু অবৈধ। কিন্তু মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বরাবরে চিঠি ইস্যু করার অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর দূর্গাপুরে নান্দীগ্রাম দারুস সালাম আলিম মাদসারার এড-হক কমিটি গঠনের অনুমতিপত্রে। ওই চিঠিতে প্রথমে অধ্যক্ষ/সুপার বরাবরে ইস্যু হলেও অবৈধভাবে প্রভাবিত হয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বরাবরে চিঠি প্রদান করে। এজন্য একই স্মারকে তিনটি চিঠি ইস্যু করা হয়। একইসাথে অনলাইনে প্রকাশিত প্রথম চিঠি ইস্যুর কপি উইড্রো করা হয়।

স্মারক নং (বামাশিবো/প্রশা/৩২৬১৭১২৬৬৪৪১/৯৭৩/নথি নং-১২৯) তে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানের পক্ষে রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত ২য় চিঠিতে অধ্যক্ষ/সুপার (ভারপ্রাপ্ত) জনাব এবিএমএ মজিদের নাম বসান নিম্নমান সহকারী মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং চিঠি সত্যায়িত করেন প্রাপক নান্দীগ্রাম দারুস সালাম আলিম মাদসারায় ভারপ্রাপ্ত জনাব এবিএমএ মজিদ। পরে ৩য় দফায় একই স্মারকের আরেকটি চিঠি ইস্যূ করা হয় অধ্যক্ষ/সুপার (ভারপ্রাপ্ত) বরাবরে।

এদিকে, মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানের চিঠির সত্যতা যাচাই না করে রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসার ও দূর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অধ্যক্ষের চিঠি গ্রহণ না করে অধ্যক্ষ/সুপার (ভারপ্রাপ্ত) চিঠি গ্রহণ করায় প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।

নান্দীগ্রাম দারুস সালাম আলিম মাদসারায় অধ্যক্ষ মুছা মিঞা জানিয়েছেন, হাইকোর্টের আদেশ লঙ্ঘন করে অধ্যক্ষ/সুপার (ভারপ্রাপ্ত) চিঠি গ্রহণ করেছেন। এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে গিয়ে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের জালিয়াতির ঘটনাটি তার নজরে আসে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়া হলে তিনি হাইকোর্টের সরণাপন্ন হবেন।

স/বি