মাত্র ছ’হাজার টাকায় নতুন বাইক

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নতুন হোক বা একটু পুরানো। মাত্র ছ’ হাজার টাকা দিলেই হাতে আস্ত বাইক। সঙ্গে বাইকের কাগজপত্রও। বাইক চুরির ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে এল এমনই তথ্য।

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার বাকাঁদহ বাজার থেকে বেশ কয়েকদিন আগে একটি বাইক চুরির ঘটনা ঘটে। তদন্ত শুরু করে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। তদন্তে পুলিশ গড়বেতা থেকে সরফরোজ মল্লিক নামে বাইশ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করে উঠে আসে আরও বেশ কিছু তথ্য।

জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ মোটর বাইক চুরির এক বড়সড় চক্রের হদিশ পায়। খোঁজ মেলে আন্তঃজেলা গাড়ি চুরির চক্রেরও। এর পরে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ এই ঘটনার তদন্তের জন্য ছয় সদস্যের একটি বিশেষ দল গঠন করে। শুরু হয় তদন্ত।

সরফরোজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও দু’জনের নাম বেরিয়ে আসে। সূত্র ধরে বাঁকুড়ার ওন্দা থানার পুনিসোল গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই চক্রের সঙ্গে যুক্ত সাদেক আলি খান ও মজবুর আলি দালাল নামে দুই ব্যক্তিকে। ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে হদিশ পায় চুরি যাওয়া বাইকের।

তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পুনিসোল এলাকা থেকেই সতেরোটি বাইক উদ্ধার করে পুলিশ। যেগুলি অনেকে কিনে বাড়িতে রেখেছিল। তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল নকল রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র।

জেলা পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা জানান, ‘‘উদ্ধার হওয়া বাইকগুলির একটি বাকাঁদহ থেকে চুরি যাওয়া বাকিগুলি খড়্গপুর, মেদিনীপুর, কোতোয়ালি, চন্দ্রকোনা এলাকা থেকে চুরি যাওয়া। এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও দু’জনের খোঁজ চলছে।’’

পুলিশ সূত্রে খবর সরফরোজই এই দলের মাথা। সে বাইক চুরি করত আর সাদেক ও মজবুর সেগুলি মাত্র ছ’হাজার বা তার বেশি টাকায় বিক্রি করত। আর বাইকের নকল কাগজও তৈরি করে দেওয়া হতো রাতারাতি। আরও দু’জন অভিযুক্ত এই দলের সঙ্গেই যুক্ত ছিল। সেই দু’জনের খোঁজে জোর তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এবেলা