বর্তমান সময়ে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে যেকোনো সময় হানা দিতে পারে এ মারণব্যাধি। তবে ইদানীং অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে। পরিসংখ্যান বলছে, অন্যান্য ক্যানসারের তুলনায় অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ।
চিকিৎসকরা বলছেন, অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার হলে সহজে তা ধরা যায় না। ফলে দ্রুত এই রোগ নির্ণয় করা যায় না। যখন ধরা পড়ে, তখন শরীরে অনেকটাই ছড়িয়ে যায়। ‘ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস’র রিপোর্ট অনুযায়ী, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ওজন, ধূমপানের অত্যধিক প্রবণতা পেটের ক্যানসার ডেকে আনে।
তবে যে কারণেই হোক, সতর্ক থাকতে এই ক্যানসারের লক্ষণগুলো জেনে নেওয়া দরকার। তাহলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হবে। চলুন জেনে নিই—
• খাওয়াদাওয়ায় একটু অনিয়ম হলেই বদহজমের সমস্যা হওয়া খুবই সাধারণ। তবে এই সমস্যা সাময়িক। যদি দেখেন, ওষুধ খাওয়ার পরেও মাঝেমাঝেই এই সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তাহলে কিন্তু চিন্তার বিষয়। বদহজমও কিন্তু অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ। এই প্রকার ক্যানসারের রোগীদের বদহজমের সঙ্গে সঙ্গে খাওয়ায় অরুচি, সারাক্ষণ বমি বমি ভাব— এই সমস্যাগুলির সম্মুখীন হতে হয়।
• যেসব রোগীর এই ক্যানসার ধরা পড়ে, তাদের বেশির ভাগই চিকিৎসকের কাছে যান পেটে ব্যথার সমস্যা নিয়ে। তীব্র পেটের যন্ত্রণা এই ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ। কিছু খাওয়ার পর বা শুয়ে থাকা অবস্থায় এই যন্ত্রণা আরও অসহনীয় হয়ে ওঠে। অনেকের ক্ষেত্রে যন্ত্রণা পেট থেকে পিঠের দিকেও ছড়িয়ে পড়ে।
• ঘন ঘন জন্ডিসে আক্রান্ত হলে কিন্তু সেটি মোটেই ভালো লক্ষণ নয়। এই ক্যানসারে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক পর্যায় অনেকেই জন্ডিসে আক্রান্ত হন। তাই সাবধান হন। বার বার ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত হওয়া, দীর্ঘ দিনব্যাপী জ্বর, ক্লান্তিবোধও অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। এ ছাড়াও মলের রঙে পরিবর্তন দেখতে পেলে, অস্বাভাবিক হারে ওজন কমে গেলেও সতর্ক হোন।