মহাদেবপুরে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ


মহাদেবপুর প্রতিনিধি :

নওগাঁর মহাদেবপুরে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে গবেষণাগার-ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে পাঘা বছির উদ্দীন ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ও সুপারের বিরুদ্ধে।

অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে এ নিয়োগ বাণিজ্যে বন্ধের দাবীতে ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মিরাজুল ইসলাম ও প্রার্থী আবু সাইদ নেফাউর পৃথকভাবে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর গতকাল বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উক্ত মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট গত ৮ নভেম্বর তারিখে একটি দৈনিক পত্রিকায় গবেষণাগার/ ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন। সে মোতাবেক উক্ত পদে নিয়োগের জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২ জন প্রার্থী আবেদন করেন। কিন্তু নিয়োগ বোর্ড গঠনের আগে পরীক্ষার্থীরা জানতে পারেন যে, সুপারিনটেনডেন্ট জালাল উদ্দিন, সভাপতি  সিরাজুল ইসলাম পরিচালনা কমিটির দু’একজন সদস্যের সাথে যোগসাজস করে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে সভাপতির নিকট আত্মীয় মোছাঃ উম্মেহানীকে নিয়োগ দেয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে অবৈধ নিয়োগ বন্ধের দাবীতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করলে গত ৫ জানুয়ারি কর্তৃপক্ষ সেদিনের নিয়োগ বোর্ড বাতিল করে।

পরবর্তীতে একই কায়দায় মোছাঃ উম্মেহানীকেই নিয়োগ দেয়ার পাঁয়তারায় ১৬ মার্চ লোক দেখানো নিয়োগ বোর্ডের তারিখ নির্ধারণ করেছেন বলেও তারা অভিযোগে উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে জানতে মাদ্রাসার সুপার মো. জালাল উদ্দীন ও সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলামের মোবাইলে বারবার ফোন দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোতাহার হোসেন মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, নিয়োগে অনিয়নের অভিযোগ ওঠায় এর আগেও একবার সেখানকার নিয়োগ বোর্ড বাতিল করা হয়েছে। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগের পরিবেশ থাকলে তবেই নিয়োগ বোর্ড সম্পুর্ণ হবে এবং কারো আত্নীয়-স্বজন দেখে নয়, যোগ্য প্রার্থীকেই নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানান তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, তিনি এলাকার বাইরে থাকায় অভিযোগটি দেখার সুযোগ হয়নি তবে ফিরে এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

জেলা শিক্ষা অফিসার লুৎফর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু নিয়োগ দেন ম্যানেজিং কমিটি। এছাড়াও মাদ্রাসা বোর্ড পৃথক হওয়ায় ঢাকা থেকেই প্রতিনিধি আসেন। এরপরও বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।