মহাদেবপুরে চোর সন্দেহে মারপিটে যুবকের মৃত্যু

মহাদেবপুর প্রতিনিধি : 

নওগাঁর মহাদেবপুরে চোর সন্দেহে মারপিটে আহত লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টুর (৩৬) মৃত্যু হয়েছে। নিহত লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টু উপজেলার ভীমপুর (ভেবরী পাড়া) গ্রামের মৃত মিরাজ মোল্লার ছেলে। দীর্ঘ প্রায় ২৬ দিন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে বুধবার রাত ২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করলে সন্ধ্যায় মরদেহ দাফন করা হয়।

নিহত ভুট্টুর বোন মাবিয়া সুলতানা সুলতানা জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে ভীমপুর (ভেবরী পাড়া) গ্রামের কাদের দেওয়ানের পুত্র সাইদুল দেওয়ান ও দুলাল দেওয়ান, দুলাল দেওয়ানের স্ত্রী সুজালা দেওয়ান, পুত্র রামিম দেওয়ান, মৃত আফসার সরদারের পুত্র মামুন সরদারসহ আরো কয়েকজন চোর সন্দেহে রাস্তা থেকে সাইদুলের বাড়িতে ডেকে নিয়ে ভুট্টুকে বেদম মারপিট করে।

তার চিৎকার শুনে তার আত্নীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী এলে তাদেরকেও বেদম মারপিট করা হয়। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

সেখানে দীর্ঘ ২৬ দিন চিকিৎসা শেষে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত মঙ্গলবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। কিন্তু অর্থাভাবে তাকে ঢাকা নিতে না পেরে ওইদিন বিকেলে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসে তার স্বজনরা।

ভুট্টুর স্ত্রী জানান, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় দীর্ঘ ২৬ দিন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করালেও শেষ পর্যন্ত অর্থাভাবে তাকে ঢাকা নিয়ে যেতে না পেরে বাড়িতে নিয়ে এসে রাখি। পরদিন বুধবার রাত ২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, ভুট্টুকে মারপিটের ঘটনার পর গত ৪ সেপ্টেম্বর তার চাচা মান্নান মোল্লা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা করেন।