মহাদেবপুরে অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, চরম ভোগান্তি


মহাদেবপুর প্রতিনিধি :
নওগাঁর মহাদেবপুরে গত কয়েকদিনের অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে উপজেলার সর্বত্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এলাকার মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট, বাড়ির আশেপাশে, খাল বিল, পুকুর ডোবা পানিতে ডুবে গেছে। আত্রাই নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপজেলা সদরের প্রধান পাকা রাস্তার সাবেক ডেপুটি স্পীকারের বাড়ির সামনে থেকে প্রাণিসম্পদ দপ্তর হয়ে উপজেলার গেট পর্যন্ত রাস্তা প্রায় হাঁটু পানিতে ডুবে থাকায় মানুষ ও যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। মানুষ এই রাস্তা পার হয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স চত্ত্বরে যেতে পারছেন না। উপজেলা সদরের খাদ্যগুদামে পানি জমা হয়ে গুদামের মেঝে ছুঁই ছুঁই করছে। যে কোন সময় পানি গুদামের ভিতর ঢুকে রক্ষিত খাদ্যশস্যের ক্ষতি হবার আশংকা দেখা দিয়েছে। অনেক সরকারি কোয়ার্টারের আঙ্গিনা ও নীচতলায় পানি ঢুকেছে। কোন কোন কোয়ার্টারে শাপও দেখা গেছে।

উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড থেকে ইউনিয়ন পরিষদ হয়ে বকের মোড়, বড়তলী মোড় থেকে সোনারপট্টি হয়ে পোষ্ট অফিস মোড় পর্যন্ত মেইন বাজার সড়ক, ঘোষপাড়ার মোড়, লিচুতলা মোড় থেকে কলেজপাড়া মসজিদ হয়ে পাকা রাস্তা পর্যন্ত প্রভৃতি রাস্তা কাদাপানিতে সয়লাব হয়ে থাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল মুসকিল হয়ে পড়েছে। মহাদেবপুর তরকারি বাজার, মাছ বাজার, কাপড় পট্টি, মাংশহাটি প্রভৃতি স্থানে পানি জমা হয়ে ও ড্রেন উপচে টয়লেটের দূর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানিতে এলাকা সয়লাব হয়ে গেছে। এছাড়া উপজেলা সদরের পুরো ড্রেন উপচে বিভিন্ন বসতবাড়ি ও দোকানের সামনে ময়লা পানি জমা হয়ে আছে।

অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে নীচু এলকার মাঠ ডুবে গেছে। বেশীরভাগ আউস ক্ষেতে লাগানো চারাগাছ ডুবে গেছে। তবে একটু উঁচু এলাকার ক্ষেতে এই বৃষ্টিপাত আউস রোপণের জন্য সহায়ক হবে বলে চাষিরা জানিয়েছেন। বেগুন, ঝাল, পটল, শশা, শাক প্রভৃতি ক্ষেতে পানি জমা হয়ে থাকায় সেগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হবে।

উপজেলা সদরের মহাদেবপুর-নওগাঁ, মহাদেবপুর-পত্নীতলা সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হওয়ায় রাস্তার পাশের ড্রেন কেটে ফেলা হয়েছে। ফলে উপজেলা সদরের পানি বের হওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে উপজেলা সদর পুরোটাই পানিতে ডুবে যাবার আশংকা দেখা দিয়েছে।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসান জানান, উপজেলা সদরে সড়ক ও জনপদ বিভাগের রাস্তা প্রশস্তিকরণের কাজ চলমান থাকায় পানি নিষ্কাশনে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। উপজেলা খাদ্যগুদামের পাশে একটি ড্রেন করা হয়েছে, কিন্তু সেটা দিয়ে পানি ধীরে নামছে। রাস্তা প্রশস্তকরণ সম্পন্ন হলে একটি নতুন ড্রেন নির্মাণ করা হবে বলেও তিনি জানান।