মনিরুজ্জামান শেখ রাহুলের কবিতা ‘চৈত্রের চৈতালী’

 



চৈত্রের চৈতালী, 
মনিরুজ্জামান শেখ রাহুল


ঋতুরাজ বসন্তের একরূপ
ফাল্গুন, অপরটি চৈত্র,
ফাল্গুন প্রকৃতির রাজ্যের
এক মনোহর চিত্র।
ঊষার রক্তবর্ণ গগন হয়তো
এই চৈত্রের মিত্র।

চৈত্রের এক ক্ষণে জন্ম তার,
কণ্ঠধ্বনিতে ঋতু বেখেয়ালী,
তাইতো চৈত্রের রঙ দর্শনে
সূর্যরূপ হাসে চৈতালী।

কথনে গায় পদ্মা নদী,
“এখন কি বলবো তাকে,
তারে দেখে স্রোতগুলো যে
নব্য দিন আঁকে।”
রাবি’র প্যারিস রোড,
আবার ভেবে বলে,
“সবুজের সতেজতা
তাকে ঘিরে চলে।
এমন আভা নেই
মহীরূহের দলে।”

মেঘ বলেছে, “রংধনুকে সঙ্গে
নিয়ে তোমার দিকে চলি।”
সকল রঙকে আপন করতে
স্বাগত জানায় চৈতালী।

নানারঙের শোভিত পুষ্প
নিজ পানে ডাকে,
অমৃত ন্যায় পুষ্পের সুবাস
মুগ্ধ করে তাকে।
ফুটন্ত রঙ্গনা জানান দেয়
সে বড়ই সুরেলা,
তার দৃষ্টির মত্ততায়
সূর্যের কাটে বেলা।

হয়ত রঙ্গনাও করতে চায়
তার সঙ্গে মিতালি,
সেজন্য পুষ্পদলকে হাতে
তুলে চৈতালী।

ধরণীতে নামে যখন
চিত্তাকর্ষক বৃষ্টি,
প্রসন্নতার অবয়বে হয়
সে অদিতি।
নেত্রযুগলে দেখে তখন
একরাশ দ্যুতি,
প্রকৃতির সম্মুখে তার
প্রত্যাশার অভিব্যক্তি।
প্রকৃতি দেয় সঙ্গে
থাকার প্রতিশ্রুতি।

চৈত্র যখন জানায়, তার বর্ণ
মধুর ও শক্তিশালী,
প্রফুল্ল হয়ে তখন দৃষ্টিপাত
করে চৈতালী।

যেমন কখনও এক বর্ষে
শেষ হয় না শীত,
তেমনি এক লগ্নে হারায় না
বসন্তের সংগীত।
তাই চৈত্র হবে না প্রকৃতি
থেকে অতীত।

প্রকৃতি থেকে বিদায়
হয় না রঙিন বসন্ত,
তা ভেবে সে হয় তখন
বিস্তর প্রাণবন্ত।

সৃষ্টিতে সর্বদা সে দেখে
পুষ্পরূপ শৈলী,
ষড়ঋতুতেও রম্য বার্তা
দেয় চৈতালী।

লেখকঃ মনিরুজ্জামান শেখ রাহুল, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর।