মধ্যরাত থেকে বগুড়া শহরে সর্বাত্মক লকডাউন

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লকডাউন চলাকালে শহরের দোকানপাট, শপিং মল, মার্কেট, বিপণিবিতান এবং সব ধরনের যানবাহন চলাচলও বন্ধ থাকবে। বিয়ে, জন্মদিন, বনভোজন ও পার্টিসহ সামাজিক অনুষ্ঠান ও রাজনৈতিক সমাবেশ করা যাবে না। শহরের সব সাপ্তাহিক হাট, পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার বন্ধ রাখতে হবে। ফুটপাতে কোনো দোকান বসতে পারবে না।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি জুন মাসে জেলায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৪৬৬ জনের। মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ৭৫৭ জনের। মৃত্যু হয়েছে ৩৪০ জনের। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় করোনায় মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন নজরুল ইসলাম (৭৩)। তিনি শহরের সূত্রাপুর এলাকার বাসিন্দা।

গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ছহির উদ্দিন (৬০)। তিনি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার কৈদিমা আহম্মেদপুর গ্রামের বাসিন্দা। জেলার সরকারি-বেসরকারি দুটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এখন প্রায় ৩০০ ছুঁই ছুঁই। প্রতিনিয়তই বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসন বগুড়া সদর উপজেলাসহ পৌরসভার ২১টি ওয়ার্ডের শহর এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করল।

প্রথম আলো