ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয়ে রাস্তায় নেই গাড়ি!

সিল্কসিটি নিউজডেস্কঃরাজধানীতে আজ থেকে  বন্ধ হয়েছে গণপরিবহনে সিটিং ও গেটলক সার্ভিস। বিষয়টি গাড়ি চালক ও মালিকরা ঠিকমতো মানছে কিনা এবং গাড়ির ফিটনেস আছে কিনা তা দেখতে নাগরীর পাঁচটি জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে এখন পর্যন্ত বেশ কিছু মামলাও হয়েছে। এ কারণে সকাল থেকেই রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা একটু কম।

কাকরাইলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) এর সামনে থাকা ভ্রাম্যমাণ আদালত-২ বেশ কিছু সিটিং সার্ভিস ও গেটলক বাস আটক করেন। বাসগুলোকে আটকে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলা হয়। তাদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর জরিমানা ও মামলা করা। রবিবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত-২ এর ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম।

ম্যাজিস্ট্রেট জানান, সকাল ৮টা থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মামলা হয়েছে ৩০টি। মামলার বেশিরভাগই সিটিং সার্ভিস ও গেটলক সংক্রান্ত। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৩৯ ও ৪০ ধারা অনুযায়ী অতিরিক্তি ভাড়া গ্রহণ করায় মামলা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি মোটরযান অধ্যাদেশ অনুযায়ীও গাড়ির ফিটনেস, ব্লুবুক, ড্রাইভিং লাইসেন্স ঠিক না থাকলে এবং বাম্পার ও অ্যাঙ্গেল থাকায় মামলা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘মোটরযান অধ্যাদেশ অনুযায়ী ঢাকায় কোনও সিটিং সার্ভিস অথবা গেটলক বা বিরতিহীন বলতে কিছু থাকবে না। ভাড়া আদায় হবে বিআরটিএ-এর নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী।’

ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে বিআরটিসির একটি বাসও ধরা পড়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় টঙ্গী-মতিঝিল রুটে চলাচলকারী ঢাকা মেট্রো ব-১১-৪৬৯২ নম্বরের গাড়িটি আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স রেখে শর্ত সাপেক্ষে গাড়িটি ছেড়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে যেতে।

বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘ঢাকায় একযোগে ৫টি স্পটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে, আসাদগেট, আগারগাঁও, বিমানবন্দর রোড, যাত্রাবাড়ী ও আইইবির সামনে।  সকালে সাত রাস্তার মোড় এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের খবর পেয়ে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কম বলে জানিয়েছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। আবার অনেক বেশ কিছু পরিবহন চলছে না।

সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন