ভোলায় চলন্ত সিলিং ফ্যান ছিঁড়ে কিন্ডারগার্টেনের ২ শিক্ষার্থী আহত

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ভোলা জেলা শহর সেরা শিশু স্কুল হিসেবে খ্যাত ক্লাস চলাকালীন সিলিং ফ্যান ছিঁড়ে পড়ে। এতে দুই শিশুশিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দেয়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সমালোচনার ঝড় ওঠে।

আহতরা হলো, কেজি শ্রেণির জিনিয়া সেকশনের শিক্ষক অসীম আচার্যের মেয়ে বসুধা আচার্য (৭) ও অপরজন সোহানা (৭)।

শনিবার সকাল ১০টায় ভোলা সদরে সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেনে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে গুরুতর আহত বসুধার মুখমণ্ডলে জখম হয়। অপরদিকে সোহানার মাথায় আঘাত লাগে। এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। স্কুলের কয়েকশ শিক্ষার্থী ভয়ে দিগ্বিদিক ছুটাছুটি করে ।

অভিযোগ রয়েছে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গত কয়েক মাস আগেও একই ঘটনা ঘটে। ওই সময়ও শিক্ষার্থী আহত হয়। পুরাতন ও ঝুঁকিপূর্ণ ফ্যান জোড়াতালি দিয়ে চালানো হচ্ছে, যা শব্দ ছড়ানোসহ ঘূর্ণনে গতিহীন অবস্থা। অভিভাবকদের অভিযোগের পরও তা পাল্টানো হচ্ছিল না।

ক্লাসরুমে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয় না। হোয়াইট বোর্ড পর্যন্ত ব্যবহার করা হয় না। এমন নানা অভিযোগ অভিভাবকদের।

স্কুলশিক্ষকরা জানান, প্রতিদিনের মতো শনিবারও স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ক্লাশ করছিল। সকাল ১০টার দিকে কেজি জিনিয়া শাখার ক্লাশে হঠাৎ করে সিলিং ফ্যানটি খুলে পড়ে যায়।

এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ইমরোজ সিদ্দিকী বলেন, এক মাস আগে স্কুলে সব ফ্যান সংস্কার করা হয়েছে । এটি একটি দুর্ঘটনা। পুনরায় ফ্যানগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে বলেও জানান।

তিনি বলেন, আহত শিক্ষার্থীরা ভালো আছে। ওদের বাসায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে। প্রথম দিকে ওরা ভয় পেয়ে যায়। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে তারা রেহাই পায় বলেও জানান।

এদিকে এ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনার জন্য শক্তিশালী তদারকি কমিটি গঠনেরও দাবি জানান অভিভাবকরা। স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে জেলা সদরের শিক্ষিত ভিভাইপি পরিবারের সন্তানরাই বেশি। ফলে প্রতিষ্ঠানটিকে জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করারও দাবি জানান।

ভোলা মডেল থানার ওসি মো. ছগির মিয়া বলেন, বিষয়টি শুনেছি তবে কেউ এখনো কোনো অভিযোগ করেনি।