ভোলাহাটে এক কলেজে দুই অধ্যক্ষ নিয়ে তদন্ত

ভোলাহাট প্রতিনিধিঃ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার ঝাউবোনা মডেল টেনিক্যাল এ্যান্ড বিএম ইন্সটিউিট ২০০৩ সালে স্থাপিত হয়। বর্তমানে দু’জন অধ্যক্ষের লড়ায়ে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা ব্যবস্থা চরম ভাবে ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

 

এরি ধারাবাহিকতায় ইন্সটিটিউটের দাবীদার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন গত ৬ জুন ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ জেলা প্রশাসন, জেলা শিক্ষা অফিসার ও অফিসার ইনর্চাজ বরাবর প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে নিয়মবর্হিভূত ভাবে অন্য ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ প্রদান করেন।

 

অভিযোগে পত্রে দাবী করা হয়, ২০০৫ সালের ৯ সেপ্টম্বর প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হলে এখন পর্যন্ত একই দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এমন অবস্থায় প্রতিষ্ঠান সভাপতি আইয়ুব আলী তার অনুপস্থিতিতে ৩০ মে নাচোল উপজেলার নাচোল কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ রবিউল ইসলামকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নীতিমালা বর্হিভূত্ব ভাবে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার জন্য বলপ্রয়োগ করার চেষ্টা করছেন।

 

তিনি অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করেন, রবিউল ইসলাম ভোলাহাট উপজেলার নামোমুশরীভূজা ড. শামশুর রহমান দাখিল মাদরাসার প্রভাষক হিসেবে ২০০২ সাল থেকে কর্মরত থাকায় নানা আর্থিক দূনীর্তি , অসাদাচরণ এবং শিক্ষ সুলভ আচরণ না করায় ২০০৮ সালে বরখাস্ত করা হন। তার এ সব অভিযোগের প্রেক্ষীতে ১৭ জুলাই সকাল ১০টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বরত প্রতিনিধি হিসেবে অভিযোগের তদন্তকারী অফিসার উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুজ্জামান সরদার তদন্ত পরিচালনা করেন। তদন্তকালে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আইয়ুব আলী অনুপস্থিত ছিলেন তবে ব্যবস্থাপনা কমিটি ৯ সদস্যের মধ্যে ৬জন উপস্থিত ছিলেন। এ’ছাড়াও স্থানীয় সূধীগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান সরদারের সাথ যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তদন্তের সকল প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে রির্পোট প্রদান করা হবে।

 

তবে তিনি বলেন, সভাপতি সাহেব অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি ভোলাহাটের বাইরে আছেন পরে এসে দেখা করে তার বক্তব্য জানাবেন বলে তার মোবাইল ফোনে জানান ।

 

এদিকে প্রতিষ্ঠানের সভাপতির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মোশাররফ হোসেন প্রভাষক পদে যোগদান পর নানা অনিয়ম দূর্নীতি করে অবৈধ ভাবে অধ্যক্ষ হিসেবে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতি অর্থ কেলেংকারী রয়েছে। সে প্রতিষ্ঠানের মূল্যবান কাজপত্র চুরি করায় সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি দাবী করেন রউিল ইসলাম হচ্ছে বৈধ অধ্যক্ষ।

স/অ