ভোলাহাটের ঝাউবোনা কারিগরি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটের ঝাউবোনা মডেল টেকনিক্যাল এ্যান্ড বি.এম ইন্সটিটিউট এ অধ্যক্ষের পদ নিয়ে ঘটেছে তুলকালামকাণ্ড। প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন নিজেকে অধ্যক্ষ দাবি করে প্রতিষ্ঠানটিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করছেন এমন অভিযোগ অন্য শিক্ষকদের।
শিক্ষকদের অভিযোগ-মোশাররফ হোসেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকাকালিন সময়ে সবগুলো শিক্ষকের নিয়োগের রেজুলেশন কপি, শিক্ষক হাজিরা ও কর্মচারী হাজিরার সমস্ত খাতা পত্র অফিস থেকে বের করে নিজ হেফাজতে রেখে দিয়েছেন। এছাড়াও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল পরিমান অর্থের বিনিময়ে দুজন শিক্ষক নিয়োগ দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সে টাকাগুলো তিনি আত্মসাৎ করেছেন এমনটাই জানিয়েছেন অন্য শিক্ষকরা। এছাড়া প্রতিষ্ঠানে না এসে বেতন উত্তোলনের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, ঝাউবোনা মডেল টেকনিক্যাল এ্যান্ড বি.এম ইন্সটিটিউট এ চলতি বছরের জুন মাসে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান রবিউল ইসলাম সোনা। এরপর তিনি যোগদান করেই প্রতিষ্ঠানটির কাজেই ঢাকায় কিছুদিন অবস্থান করে চল্লিশ দিনের ছুটি নিয়ে হজ্জ করতে মক্কায় যান। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।
ঝাউবোনা মডেল টেকনিক্যাল এ্যান্ড বি.এম ইন্সটিটিউট এর সহকারি গ্রন্থাগারিক শিউলি খাতুন জানান, অধ্যক্ষ ছুটিতে থাকায় তার অফিস কক্ষে তালা লাগানো ছিল। রোববার বেলা ১১টার দিকে বহিরাগত কয়েকজন ব্যক্তিকে নিয়ে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন। এসময় তিনি অফিস কক্ষের চাবি চেয়ে না পেলে তালা ভেঙ্গে অফিসে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এতে কয়েকজন শিক্ষক বাধা দিতে গেলে আমিসহ অন্য শিক্ষকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারতে চড়াও হন। এক পর্যায়ে তিনি বহিরাগতদের দিয়ে তালা ভেঙ্গে অফিস রুমে প্রবেশ করে কিছুক্ষন অবস্থান করেন।
এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটিতে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ দাবিদার মোশাররফ হোসেন জানান, দীর্ঘ সময় দাড়িয়ে থেকেও অফিস কক্ষ খুলে না দেয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা তালা ভেঙ্গেছে। কোন শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়নি। এছাড়া তিনি দাবি করে বলেন-প্রতিষ্ঠানটির কোন খাতা পত্র আমার হেফাজতে নেয় এবং প্রতিষ্ঠানটির টাকাও আত্মসাত করা হয়নি।
স/অ