ভোটের আগে ২ ওসি প্রত্যাহার, চারজনকে অব্যাহতি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

দ্বিতীয় দফায় ১১৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণের আগে নির্বাচনে পক্ষপাত ও অনিয়মের অভিযোগে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ছাড়া চার ওসিকে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

রোববার বিকেলে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ কথা বলেন।

ইসি সচিব জানান, নির্বাচনে পক্ষপাত ও অনিয়মের অভিযোগে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া এবং গাইবান্ধার ফুলছড়ি থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন অভিযোগ ওঠায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জ, বগুড়ার শিবগঞ্জ, নওগাঁর মান্দা ও বান্দরবানের আলীকদমের ওসিকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ওসিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রসঙ্গে সচিব বলেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর আমরা তদন্ত করেছি। সেখানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

আজ সোমবার পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৬ জেলার ১১৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে।

সচিব বলেন, পক্ষপাতের অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কিছু পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বদলির প্রস্তাব কমিশন অনুমোদন দিয়েছে।

সেগুলো হচ্ছে- মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও গাইবান্ধার ফুলছড়ি। এছাড়া দিনাজপুরের বীরগঞ্জ, বগুড়ার শিবগঞ্জ, নওগাঁর মান্দা ও বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড থেকে অব্যাহতি দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা কিছু অভিযোগ পেয়ে তা তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি যার পরিপ্রেক্ষিতে এ ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।

ঝুঁকি বিবেচনায় তিন পার্বত্য এলাকায় সেনা সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, তিন পার্বত্য জেলাতে আমরা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছি।

ইতিমধ্যে সেখানে সেনাবাহিনী কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। শান্তিচুক্তির পক্ষে-বিপক্ষে কিছু সমস্যা আছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে পাহাড়িদের মধ্যে একটি উত্তেজনা কাজ করে। তা প্রশমিত করার জন্যই সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেয়া হয়েছে। অন্যান্য উপজেলায় পুলিশ র‌্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসার মোতায়েন রয়েছে।

ইসি সচিবালয় জানিয়েছে, ৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের ১২৯টি উপজেলায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল থেকে গোপালগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলা সরিয়ে তৃতীয় ধাপে এবং দিনাজপুর সদর উপজেলা সরিয়ে চতুর্থ ধাপে নেয়া হয়েছে।

আদালতের রায়ে নাজমুল ইসলাম নামে এক প্রার্র্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ও প্রতীক বরাদ্দের আদেশ থাকায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ভোট স্থগিত করেছে ইসি।

এছাড়া ৬টি উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সব পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সেগুলো হচ্ছে- নওগাঁও সদর, পাবনা সদর, ফরিদপুর সদর, নোয়াখালীর হাতিয়া এবং চট্টগ্রামের রাউজান ও মিরসরাই।

এছাড়াও আরও ১৭টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ৭টি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও ৬টি উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ওইসব পদেও ভোট হচ্ছে না। বাকিগুলোতে ভোটগ্রহণ হবে।

আরও জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন ৩৭৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৪৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৭ হাজার ৩৯টি। ভোটার রয়েছেন ১ কোটি ৭৯ লাখ ৯ হাজার ৬ জন।