ভোটারদের কাছে ভালো কিছু আশা করেন কমিশন সচিব

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটারদের কাছে ভালো কিছু প্রত্যাশা করেছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের নির্বাচকমণ্ডলী সকলে জনপ্রতিনিধি ও সমাজে মর্যাদাশীল। তারা রাজনৈতিকভাবে সচেতন। এই পর্যায়ের লোকজন দিয়ে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন না হয়, তাহলে কোনও পর্যায়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, এটা কেউ বিশ্বাস করবে না। তাদের থেকে জাতি যেটুকু প্রত্যাশা করে, কমিশনও সেই আশা করে। তাদের থেকে আমরা ভালো কিছু আশা করি।’
মঙ্গলবার বিকালে কমিশন সচিবালয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি তুলে ধরতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে কমিশন বদ্ধ পরিকর উল্লেখ করে সচিব বলেন, ‘দেশে প্রথমবারের মতো এই জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও অবাধ হবে আমরা এটা আশা করছি।’
ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে এই নির্বাচনে আমরা ব্যতিক্রমী কিছু সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। সেটা হলো কোনও ভোটারই কেন্দ্রে মোবাইল বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস  বা ব্যালট পেপার স্ক্যান করা যায়, এমন কিছু প্রবেশ করতে পারবেন না। যাতে ভোটের গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ না হয়, তার জন্য এটা প্রতিপালনে  আমরা নির্বাচনি কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি।’

এই সিদ্ধান্তের কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন,‘ অভিযোগ- পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে এটা করা হয়েছে। এমন একটা আশঙ্কা রয়েছে যে, ভোটদানের গোপনীয়তা ভঙ্গ হতে পারে। কেউ হয়তো প্রমাণের জন্য ব্যালট পেপারের চিহ্ন মোবাইলে ছবি ধারণ করতে পারেন। এজন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোনও ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস- যেটা দিয়ে স্ক্যান করা যায়, তা কেন্দ্রে অ্যালাউ নয়।’

উন্মুক্ত ভোটের দাবি নাকচ করে তিনি বলেন, ‘ভোটের সার্বজনীন রীতি হচ্ছে গোপনীয়তা। আমাদের আইনেও বলে ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। এই গোপনীয়তা ভঙ্গ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কেউ এটা করলে তা হবে দণ্ডনীয় অপরাধ। এতে নির্বাচনী আইনে তার শাস্তি হতে পারে। সেই গোপনীয়তা রক্ষার জন্য কমিশনেরও দায়বদ্ধতা রয়েছে। আর গোপনীয়তার সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তার প্রশ্নও জড়িত রয়েছে। কারণ, গোপনীয়তা ভঙ্গ হলে তাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। এগুলো বিবেচনায় নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের দু’একটি অভিযোগ আছে, সেগুলোর ক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নিয়েছি। সরকারি সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যাতে নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে না পারেন, এজন্য মাননীয় স্পিকারকে অনুরোধ করেছি।’

রাতে কেন্দ্রে থাকতে হবে না

জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারদের রাতে কেন্দ্রে গিয়ে অবস্থান করতে হবে না বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব। তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনে নির্বাচনি কর্মকর্তাদের অন্য নির্বাচনের মতো কেন্দ্রে গিয়ে রাত যাপনের বিষয়টি বাধ্যবাধকতা করা হয়নি। নির্বাচনে ভোটার কম হওয়ার কারণে এটা করা হয়েছে। আগের দিন তারা নির্বাচনি সামগ্রী গ্রহণ করে উপজেলার মালখানায় রাখবেন এবং ভোটের দিন সকাল ৭টার মধ্যে কেন্দ্রে পৌঁছতে হবে।’

সূত্র : বাংলাট্রিবিউন