ভিপি নুরের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বগুড়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে কমিটি করেছে ছাত্রলীগ।

তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত, উপআইনবিষয়ক সম্পাদক মো. সুজন শেখ ও সাহেদুল হাসান আল মুরাদ।

তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ও উপদফতর সম্পাদক মাহমুদুল্লাহ মুন্সি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে ডাকসু ভিপির সঙ্গে সবার সম্মান জড়িত। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগ জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন নুরুল হক নুর। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কোনো প্রকার নেতিবাচক কাজকে সমর্থন করে না।

তদুপরি শিক্ষা শান্তি প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতি আনীত অভিযোগের অধিকতর তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে সরেজমিন গিয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।

প্রসঙ্গত রোববার বগুড়ায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলে যোগ দিয়ে হামলার শিকার হন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সঙ্গীরা। ওই দিন বিকালে শহরের পৌর পার্কের উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তন চত্বরে হামলায় নুরসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরে পুলিশ নুরকে উদ্ধার করে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইফতার পার্টিতে যেতে নুরকে বাধা দেয়ার একদিন পরই এ ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বগুড়া জেলা আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান রাকিব জানান, শহরে পৌর পার্কে উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে ইফতারে ভিপি নুরকে প্রধান অতিথি করা হয়। খবর পেয়ে ছাত্রলীগের সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুর রউফের নেতৃত্বে ৩০-৪০ নেতাকর্মী সেখানে অবস্থান নেন। এর আগে পুলিশ দিয়ে অনুষ্ঠান না করতে হুমকি এবং ব্যানার সরিয়ে ফেলতে বলা হয়। বিকাল ৫টার দিকে মাইক্রোবাসে ১৩ সঙ্গী নিয়ে নুর অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। কিলঘুষি, লাথি ও ইটপাটকেলের আঘাতে নুরসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। স্টেডিয়ামে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজ হাসান রক্তাক্ত নুরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

এদিকে নুরসহ তার সমর্থকদের ওপর বগুড়ায় হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’। সেই সঙ্গে হামলাকারীদের নাম প্রকাশ করেছেন তারা। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা ডাকসু ভিপির ওপর হামলাকারীদের তালিকা প্রকাশ করেন।