সোমবার , ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | ২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুলের দোকানে ভীড়

Paris
ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭ ৮:২৭ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আর মাত্র কিছুক্ষণ পরেই মাতৃভাষা দিবস। দেশের অগনিত ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নামবে শহীদ মিনারে নামবে দেশের কোটি কোটি মানুষের ঢল। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে সকল রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সকল বাঙ্গালীদের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আর ভাষা শহীদদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ফুলের দোকানীরা। তৈরী করছেন শ্রদ্ধাঞ্জলীর ডালা।

 
নগরীর নিউমার্কেট, সাহেববাজার, লক্ষীপুর এলাকার ফুলের দোকানগুলোতে এখন উপচে পড়া ভীড়। প্রথম প্রহরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ফুলের ডালার অর্ডার দিয়ে থাকেন। অনেকেই ফুলের ডালা কিনতে  আসছেন এবং তাৎক্ষনিকভাবেই তা পছন্দ মতো বানিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আর সেই অর্ডার মোতাবেক ফুলের ডালা তৈরীতেই ব্যস্ত দোকানীরা।

 
নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট এলাকার ফুল ব্যবসায়ী  আজাদ সিল্কসিটি নিউজকে জানান, সকাল থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের ফুলের ডালা তৈরী করেছেন তিনি। শেষ সময়ে তিনি অতিরিক্ত ফুলের ডালা তৈরী করবেন। একুশে ফেব্রুয়ারীতে প্রভাত ফেরীর আগ পর্যন্ত চলবে ফুলের ডালা তৈরীর কাজ।

 
তিনি আরও জানান, ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক বিভিন্ন সাইজের ফুলের ডালা তৈরী করা হয়েছে। ছোট আকারের ডালাগুলো বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায়, মাঝাড়ি সাইজের ডালা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় এবং বড় সাইজের ডালা বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও ক্রেতাদের সাধ্যমতো ও চাহিদানুযায়ী বিভিন্ন সাইজের ফুলের ডালা তৈরী করছেন দোকানীরা।

 
এদিকে প্রভাত ফেরীতে অংশনিতে জাতীয় পতাকার দোকানগুলোতেও ভীড় লক্ষ্য করা গেছে ব্যাপক হারে। জাতীয় পতাকা এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কালো পতাকা সংগ্রহ করছেন ক্রেতারা। ক্রেতাদের সাধ্য ও চাহিদামোতাবেক এবং সরকারী বিধিঅনুযায়ী বিভিন্ন সাইজের পতাকা তৈরী করছেন বিক্রেতারা। প্রতিটি পতাকা বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ম ৬০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ক্রেতাদের অর্ডার মোতাবেক বিভিন্ন সাইজের পতাকাও তৈরী করছেন তারা।

 
সাহেব বাজার এলাকার পতাকা বিক্রেতা আব্দুস সালাম বলেন, বাংলার শহীদ, ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে এবং জাতীয় দিবস গুলোতে জাতীয় পতাকার চাহিদা বাড়ে। আর একুশে ফেব্রুয়ারীতে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি কালো পতাকাও বেশ কেনাবেচা হয়। সকাল থেকেই অনেক ক্রেতা পতাকা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। শেষ মুহুর্তে আরও বিক্রি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

 
অন্যদিকে ছোট শিশু ও মাঝাড়ি বয়সীদের মাথায় ও হাতে বাধার জন্য ফুটপাতের ধার ঘেষে এবং রাস্তার কোনে ফেরী করে বিক্রি হচ্ছে জাতীয় পতাকার ব্যান্ড। শিশু মনে শহীদ চেতনার উদয় জন্মানোর জন্য অনেকেই কিনছেন সেসব ব্যান্ড। এসব ব্যান্ড বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ৩০ টাকায়। তবে মূল্যটাকে প্রাধান্য না দিয়ে নিজেদের শোকাবহ করতেই এগুলো কিনছেন ক্রেতারা।

 
আশরাফুল আলম নামক এক ক্রেতা বলেন, বাচ্চার জন্য অমর একুশে লেখা জাতীয় পতাকার ব্যান্ড কিনেছি। শিশু মনে এখন থেকেই যেন জাতীয় চেতনা জন্মায় সে কারণে এগুলো সংগ্রহ করা। আর সকালে তাকে নিয়ে যাব রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতি সংগ্রহ শালায়। যাতে করে মুক্তিযুদ্ধের স¥ৃতি নিজের এবং বাচ্চার মনেও নতুনভাবে জন্ম নেয়।

 
শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে বাঙ্গালীরা সকলেই নিবেদিত প্রাণ। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই বাঙ্গালী। এই চেতনাকে বুকে ধারণ করেই শ্রদ্ধাভারে শহীদদের স্মরণ করতে বাঙ্গালীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

স/শ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর