নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘ভারপ্রাপ্ত মেয়রের ভারে কুঁজো হয়ে গেছে রাজশাহীবাসী। রাজশাহী নগরবাসী আর চাই না এই হোল্ডিং ট্যাক্সের নির্যাতন। এখান থেকে তারা মুক্তি চাই। রাজশাহী সিটি করপোরেশন নগরবাসীর ওপর চাপিয়ে দিয়েছে অবৈধ এ হোল্ডিং ট্যাক্সের বোঝা’।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাসিক প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় রাকসুর সাবেক ভিপি ও বর্ধিত হোল্ডিং কর প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক রাগিব আহসান মুন্না এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগের হোল্ডিং ট্যাক্সে যে পরিমান ছিল তার থেকে অনেক বেশি করে দেওয়া হয়েছে। এতে আমরা নগরবাসি পক্ষে দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না। ফলে নগরবাসির মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলা এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সিপিবি নেতা এনামুল হক, এ্যাড. আবু রায়হান, দেবাশীষ রায়, মুরাদ মোর্শেদ প্রমুখ। এছাড়া সিপিবি, বাসদ ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতৃবৃন্দসহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী ।
বৃহস্পতিবার এ কর্মসূচিতে, বর্ধিত কর প্রত্যাহারের প্রতিবাদে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়। সাত দিনের মধ্যে বর্ধিত কর প্রত্যাহার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষনা দেয়া হয়।
এর আগে সকাল ৯টায় রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টের ভূবন মোহন পার্কে এক গনজামায়েত করার চেষ্টা পুলিশি বাধায় তা পণ্ড হয়। পরে সেখান থেকে মিছিলটি ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত হয়ে রাসিকের প্র্রধান ফটকের সামনে এসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
এ দিকে রাসিকের সামনে সিপিবি‘র অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে নাগরিক অধিকার সংরক্ষন সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ রাসিকের ভারপ্রাপ্ত মেয়র নিযাম উল আযিমের অনুপস্থিতিতে তার ব্যাক্তিগত সহকারী আজমির আহমেদ মামুনের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন।
একই দাবিতে কর্মসূচি পালন করে সিপিবির নেতৃবৃন্দ। এ সময় তারা একই দাবিতে রাসিকের ভারপ্রাপ্ত মেয়র নিযাম উল আযিমের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করতে গেলে পুলিশি বাঁধার মুখে পরে। পরে সেখান থেকে চলে এসে নগর ভবনের সামনেই অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। পরবর্তীতে স্মারকলিপি প্রদানের অনুমতি পেলে রাসিক মেয়র বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন সিপিবির চার নেতা।
স/আ