বুধবার , ২২ এপ্রিল ২০২০ | ১২ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ভারত না গেলে ১০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হবে অস্ট্রেলিয়ার!

Paris
এপ্রিল ২২, ২০২০ ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ

গোটা বিশ্বে জেঁকে বসেছে করোনা। স্বাভাবিকভাবেই প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের ভয়াবহ কবলে পড়েছে দুনিয়ার ক্রীড়াঙ্গনও। ফুটবল, টেনিস, ক্রিকেটসহ সব ধরনের খেলাধুলা বন্ধ।

যে কারণে এ বছর অস্ট্রেলিয়ায় ভারত সফর বাতিল হতে পারে। এমনটি হলে অজি ক্রিকেট বোর্ড (সিএ) ১০০ মিলিয়ন ডলার লোকসানের সম্মুখীন হবে। মঙ্গলবার এ সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন সিএপ্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টস।

তিনি জানান, ভারতের বিপক্ষে নির্ধারিত চার টেস্টের সিরিজটি পাঁচ ম্যাচ করার বিবেচনা করছিল অস্ট্রেলিয়া। আগামী নভেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট রয়েছে তাদের। এর পরিবর্তে টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে একটি ম্যাচ বেশি খেলার চিন্তা-ভাবনা করছিল তারা।

আসছে অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক অস্ট্রেলিয়া। করোনার কারণে বৈশ্বিক টুর্নামেন্টটিও এখন হুমকির মুখে। তবে বিকল্প পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এর পরই অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়ার কথা ভারতের।

রবার্টস বলেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে ইতিমধ্যে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ১২ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। ভারত সফর বাতিল হলে এর পরিমাণ আরও বাড়বে।

এক ভিডিও কনফারেন্সে স্বদেশী সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, যদি আন্তর্জাতিক মৌসুমের সম্ভাবনার কথা চিন্তা করা হয়, তা হলে বলব এটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে আমাদের হাতে ১০০ মিলিয়ন ডলারের ইস্যু রয়েছে। তাই সঠিক পরিকল্পনা করা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ভারত বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দল। তাদের ম্যাচে প্রচুর দর্শক সমাগম ঘটে। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ায় সফর তাদের আয়ের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। বহুল প্রত্যাশিত সিরিজটি না হলে সফরকারী কোহলিরাও লোকসানের মুখে পড়বেন।

রবার্টস বলেন, ভবিষ্যতে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ ম্যাচ সিরিজ খেলার কথা ছিল, যা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজের সমতুল্য হতে পারে।

সিএপ্রধান বলেন, পরবর্তী মৌসুমে আমাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে, তা আমরা কেউই জানি না। তবে প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে অবশ্যই সূচিতে পরিবর্তন আনতে হবে। চূড়ান্ত পরিস্থিতির কাছাকাছি না যাওয়া পর্যন্ত আমরা কোনো সম্ভাবনাই বাতিল করব না।

তিনি যোগ করেন, খেলোয়াড়দের বেতন হ্রাসের কারণে সৃজনশীল সমাধানের দরকার হতে পারে। বেতন কমিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যে বেশিরভাগ প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে বাড়িতে পাঠিয়েছে। এ বছর বড় ধরনের আর্থিক বিপর্যয়ে পড়তে হতে পারে।

রবার্টস বলেন, আমরা খেলোয়াড়দের বর্তমান অর্থ প্রদানের মডেলকে সম্মান করি এবং এটি অব্যাহত রাখতে চাই। বেতন হ্রাস মানে বর্তমান মডেলকে অসম্মান করা নয়। এটি পরিচালনার জন্য আমাদের সমাজের অন্যান্য সংস্থার মতো সমাধান প্রয়োজন।

 

সুত্রঃ যুগান্তর

সর্বশেষ - খেলা