ভারত এখন বিশ্বে ধর্ষণের রাজধানী হিসেবে পরিচিত: রাহুল গান্ধী

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ভারতকে এখন গোটাবিশ্ব ধর্ষণের রাজধানী হিসেবেই চেনে। শনিবার কেরালার ওয়ানখেড়ে এক সভায় ওই মন্তব্য করেন স্থানীয় এমপি ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশজুড়ে হিংসা ও ঘৃণার পরিবেশ তৈরি করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। খবর এনডিটিভির।

শুক্রবার রাতে মৃত্যু হয় উন্নাওয়ের ৯০ শতাংশ শরীর পুড়ে যাওয়া নির্যাতিতার। বৃহস্পতিবার সকালে তার গায়ে আগুন দিয়ে দেয় ধর্ষণে অভিযুক্তরা।

এর পরই দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে এয়ারলিফট করে নিয়ে আসা হয়েছিল তাকে। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই ধর্ষিত তরুণীর।

এর পর শনিবার সকাল থেকেই ধর্ষণে অভিযুক্তদের চরম শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো শুরু হয় দেশজুড়ে।

উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন ও মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব থেকে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াংকা গান্ধী।

উন্নাওয়ের নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন প্রিয়াংকা গান্ধী। এ ঘটনার প্রতিবাদে থানায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন অখিলেশ।

সাবেক আরেক মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী পৌঁছে যান রাজ্যপালের কাছে। আর এরই মধ্যে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে দেশে ধর্ষণের ঘটনা প্রচণ্ড হারে বেড়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন রাহুল। গোটা বিশ্বের মানুষ এখন ভারতকে ধর্ষণের রাজধানী হিসেবেই চিনে বলে কটাক্ষ করেন তিনি।

এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও দায়ী করে তিনি বলেন, বিশ্বের কাছে এখন ভারতের পরিচয় ধর্ষণের রাজধানী হিসেবে।

বিদেশিরা প্রশ্ন তুলছেন– কেন ভারত নিজের মেয়ে ও বোনদের নিরাপত্তা দিতে পারে না। উত্তরপ্রদেশের একজন বিজেপি বিধায়ক ধর্ষণে অভিযুক্ত।

কিন্তু এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এখনও একটা শব্দও বললেন না। আসলে আমরা এমন একজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি, যিনি নিজেই ঘৃণা ও হিংসার আদর্শে বিশ্বাসী।

তার পুরো রাজনৈতিক জীবনটাই সাম্প্রদায়িক আদর্শের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। তিনি ধর্মের ভিত্তিতে সম্প্রদায় ও ভাষার মধ্যে বিভাজন এনে সংস্কৃতিকে অপমান করছেন।

তিনি অর্থনীতি সম্পর্কেও কিছু বোঝেন না। ফলে আমাদের দেশের মানুষ আতঙ্ক ও অস্বস্তির মধ্যে জীবন কাটাচ্ছেন। তবে আমি বলব– আপনারা নিজেদের শক্তিকে ছোট করে না দেখে দেশের গতিমুখ বদলের চেষ্টা করুন।’