‘ভারতে ১৫ বছরে মেয়েরা প্রসবে সক্ষম হলে বিয়ের বয়স বাড়ানোর দরকার কী?’

ভারতে মেয়েরা ১৫ বছর বয়সেই সন্তান প্রসবে (জন্মদান) সক্ষম হলে তাদের আর বিয়ের বয়স বাড়ানোর প্রয়োজন কেন?‌ একটি বিতর্কসভায় এই মন্তব্য করলেন ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাবেক কংগ্রেস মন্ত্রী। এ নিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সজ্জন সিং বর্মা নামে ওই কংগ্রেস নেতাকে দল থেকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে বিজেপি।

এ বিষয়ে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে কংগ্রেসের মুখপাত্র ভূপেন্দ্র গুপ্তা জানালেন, বিজেপি অকারণে রাজনীতি করছে। ইচ্ছা করে ইস্যু তৈরি করছে। সম্প্রতি নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধ করতে একটি প্রচার অভিযান শুরু করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। এর উদ্বোধনের দিন একটি বিতর্কসভার আয়োজন করা হয়।

এতে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং দাবি করেন, মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করা উচিত। পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে সজ্জন সিং বর্মা বলেন, ‘‌এটা আমার আবিষ্কার নয়। চিকিৎসকরাই বলেন, ১৫ বছর বয়সে মেয়েরা সন্তান জন্ম দিতে সক্ষম। এ থেকে স্পষ্ট, যে ১৮ বছর বয়সে বিয়ের জন্য মেয়েরা যথেষ্ট পরিণত হয়ে যায়।’

 

এখানেই থামেননি মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন পিডব্লিউডি মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘১৮ বছর হলেই মেয়েদের শ্বশুরবাড়ি গিয়ে সুখে সংসার করা উচিত।’‌ বর্মা শিবরাজ সিংকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘‌উনি কি বিজ্ঞানী, না চিকিৎসক, যে মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানো নিয়ে জ্ঞান দিচ্ছেন।’‌ তার পরেই সরব হয় রাজ্য বিজেপি।

 

সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন