লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনে তাদের মুখোমুখি অবস্থান বদলে দুই দেশই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা- এলএসি (লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল) থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে নিজেদের সেনা সরিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনাকে ভারতের কূটনৈতিক সফলতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
জানা যায়, গত রবিবার (০৫ জুলাই) লাদাখ সীমান্ত বিতর্ক ও দুই দেশের মুখোমুখি অবস্থান প্রসঙ্গে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে টেলিফোনে দুই ঘণ্টাব্যাপী দীর্ঘ এক বৈঠক করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও লাদাখ সীমান্ত বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি অজিত দোভাল। সে সময় তারা সীমান্ত উত্তেজনা নিরসন, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও নিরাপত্তার ব্যাপারে সহমত পোষণ করেন।
ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কূটনৈতিক ওই তৎপরতায় অজিত দোভাল সফলতার সঙ্গে চীনকেই প্রথমে লাদাখ থেকে সেনা সরানোর কাজটি শুরু করার ব্যাপারে সম্মত করান। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতও সেনা সরাবে বলে জানান তিনি।
ভারত সরকার জানায়, এরইমধ্যে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা থেকে নিজেদের সীমানার দুই কিলোমিটার ভেতরে সরে গেছেন চীনা সেনারা। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পিপি-১৪, পিপি-১৫ ও অন্যান্য অংশ থেকেও ধারাবাহিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করবে চীন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতও গালওয়ান উপত্যকার এলএসি থেকে নিজেদের সীমান্তের ২ কিলোমিটার ভেতরে সেনা সরিয়ে নিয়েছে।