‘ভারতের অস্ত্র পরিপূর্ণভাবে মানসম্মত নয়’

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, সমঝোতা অনুযায়ী ভারত প্রতিরক্ষা খাতে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দেবে। সেই ঋণের অর্থ দিয়ে ভারত থেকেই অস্ত্র কিনতে হবে। কিন্তু ভারতের অস্ত্রগুলো আন্তর্জাতিক বাজার অনুযায়ী পরিপূর্ণভাবে মানসম্মত নয়।

 

প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিভিকে এসব কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক।

 

ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রতিরক্ষার জন্য ভারত থেকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়া যাবে। তবে সেই অর্থটি দিয়ে ভারত থেকেই অস্ত্র কিনতে হবে। ভারতের অস্ত্র আন্তর্জাতিক বাজার অনুযায়ী, পরিপূর্ণভাবে মানসম্মত নয়। তবে কিছু অস্ত্র বাংলাদেশ ব্যবহার করতে পারবে।’

 

‘বাংলাদেশ সমরাস্ত্রের জন্যে পরিপূর্ণভাবে নির্ভরশীল চীনের ওপরে। তবে চীনের ওপরে নির্ভরশীলতা বাংলাদেশকে কমাতে হবে। উপরন্তু ৪৯৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে একটা বড় রকমের অগ্রগতির সূচক হিসেবে এই সফরকে আমি বিবেচনা করি আর কী।’

 

বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘৪৫০ বিলিয়ন ডলারের মতো ভারত এখনই আমদানি করে। আমরা মাত্র ৬৫০ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি করি। এই জায়গাটাতে ভারতীয় বিনিয়োগ যদি আমরা আকর্ষণ করতে পারি এবং আমরা দুটো স্পেশাল ইকোনোমিক জোন (বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল) তাদেরকে দেওয়ার কথা বলেছি। এই জায়গায় যদি ভারতীয় বিনিয়োগ এসে ভারতে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করতে পারে শূন্য শুল্ক সুবিধা নিয়ে, তাহলে কিন্তু আমাদের অনেক কর্মসংস্থানেরও সুযোগ হয়, আমাদের রপ্তানিও বৃদ্ধি পায়।’

 

‘তো এসব সবগুলো মিলে আমি খুব ইতিবাচকভাবেই দেখি। কিন্তু এসব প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের দেশে বাস্তবায়ন সক্ষমতার দিক থেকে তো অনেক ধরনের দুর্বলতা আছে।’

 

সাবেক পররাষ্ট্রসচিব শমসের মোবিন চৌধুরী বলেন, ‘আদৌ যে তিস্তার ব্যাপারে কিছু হয়নি, সেটা না। কিছুটা তো অগ্রগতির আভাস পাওয়া গেছে। দ্বিতীয়ত, হ্যাঁ, নিঃসন্দেহে সীমান্ত এলাকায় হত্যাকাণ্ড কমে এসেছে। আগের চেয়ে অনেক কমে এসেছে। তবে ভারতের সরকারের বিভিন্ন সময়ে যেটা বলা হয়েছিল যে, শূন্যের খাতায় নেমে আসবে, সেটা এখনো হয়নি।’

 

‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে বক্তব্য রেখেছেন যে, তিনি মানে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। একসাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন পরিষ্কার ভাষায় এবং বোঝাই যাচ্ছে যে, তারা এ ব্যাপারে অত্যন্ত সুদৃঢ় অবস্থান নিয়েছে যে তারা বর্তমান সরকারকে তারা এইভাবে সহায়তা দিয়েই যাবে।’

সূত্র: এনটিাভ