ভাঙ্গুড়ায় মধ্যরাত পর্যন্ত চললো গণটিকা

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সদর ইউনিয়ন পরিষদে রাত ১১টা বাজলেও টিকাদান কর্মসূচি শেষ হয়নি। পার্শ্ববর্তী দুইটি ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত টিকা বেঁচে যাওয়ায় সদর ইউনিয়নে পাঠানো হয়। তাই দিনভর স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রায় সাড়ে তিন হাজার টিকা দিয়ে শেষ করতে পারেনি।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, ভাঙ্গুড়া সদর ইউনিয়নে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ১ হাজার ৫০০ জন মানুষের জন্য টিকা বরাদ্দ ছিল। একই সঙ্গে মন্ডুতোষ ও দিলপাশার ইউনিয়ন ৩ হাজার টিকা বরাদ্দ পায়। কিন্তু ইউনিয়ন দুটিতে প্রায় দুই হাজার টিকা বেঁচে যায়।

এর আগে প্রথমবার গণটিকায় সদর ইউনিয়ন বাদ পড়ে। তাই পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন দুটির বেঁচে যাওয়া টিকা সদর ইউনিয়নে সরবরাহ করা হয়। বিষয়টি এলাকায় ঘোষণা করা হলে বিকাল থেকে অসংখ্য নারী-পুরুষ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আসতে থাকে। এতে নির্ধারিত সময়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা অতিরিক্ত টিকা শেষ না করতে পারায় মধ্যরাত হয়ে যায়।

ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বলেন, টিকা নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। তাই অন্য দুটি ইউনিয়নের বেঁচে যাওয়া টিকা সদর ইউনিয়নে দেওয়ায় টিকা নিতে সবাই অনেক রাত পর্যন্ত ভিড় করেছে। আশা করছি রাত ১২টার মধ্যে টিকা প্রদান শেষ হবে।

রাত ১১টার সময় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে অন্তত ৭০/৮০ জন নারী-পুরুষ টিকা নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। তবে আর তিনটি ভায়েল টিকা অবশিষ্ট রয়েছে। যা আরো ৩০ জন মানুষকে দেওয়া যাবে।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন