ভর্তিচ্ছুদের জন্য সিট খুঁজতে গিয়ে ছিনতাইকারীর হামলায় রাবি শিক্ষার্থী জখম

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর জন্য আবাসিক হোটেলে সিট খুঁজতে গিয়ে ছিনতাই ও হামলার শিকার হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থী। শুক্রবার (২২ জুলাই) রাতে রাজশাহী নগরীর লক্ষীপুরের আলিগঞ্জ পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী আহত শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম দুলাল চন্দ্র (২০)।  তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্ৰামের বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী দুলালের বরাত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী ও ওই এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘রাবিতে ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থীর জন্য আবাসিক হোটেলে সিট দেখতে সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর এলাকায় যান দুলাল। এসময় স্থানীয় তিন যুবক তাকে হোটেলে সিট দেওয়ার নামে রিকশায় করে পাশের আলীগঞ্জ পশ্চিমপাড়া এলাকায় নিয়ে যান। এরপর তারা দুলালের মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেন এবং বাড়িতে ফোন দিয়ে ২০ হাজার টাকা নিতে বলেন। এতে রাজি না হলে মারধর শুরু করেন। পরে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করলে দুলাল জ্ঞান হারান। তখন ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যান। পরে এলাকাবাসী দুলালকে উদ্ধার করে মুখে পানি দিয়ে জ্ঞান ফেরায় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, দুলালের জ্ঞান ফিরলে ছিনতাই ও মারধরকারী হিসেবে স্থানীয় বখাটে হাসিব, আলাল ও কটার নাম একটি কাগজে লিখে দেন। পরে দুলালকে রিকশাযোগে ক্যাম্পাসে পাঠিয়ে দেন এলাকাবাসী ‘

হুমায়ুন কবীর জানান, দুলালকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রামেকে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় দুলালের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো প্রকার অভিযোগ বা মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছেন দুলালের সহপাঠীরা।

এ বিষয়ে রাবির মেডিক্যাল সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সলীল সমাদ্দার বলেন, ‘তার মাথার পেছনে আঘাত করা হয়েছে এবং হাতের কবজিতে ব্লেড দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথার আঘাত দেখে মনে হয়েছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং সে কারণে ফুলে আছে। আমাদের এখানে তার চিকিৎসা করা সম্ভব না হওয়ায় রামেক হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ছিনতাই ও মারধরের শিকার হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। জানামাত্রই ছাত্র উপদেষ্টা ও দুজন সহকারী প্রক্টরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সুচিকিৎসার বিষয়টি তারা নিশ্চিত করবেন। এছাড়া ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।’

এএইচ/এস