বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনায় পর আজ শুক্রবার (২০ আগস্ট) পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে জেলা প্রশাসন।
এদিকে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে বাসভবন ও পুলিশের ওপর হামলা মামলায় এ পর্যন্ত ১৮ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা হলেন- নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশিদ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন হাওলাদার ও সদর উপজেলার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কবির তালুকদার।
নগরীর সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি নগরীর রাস্তায় রাস্তায় র্যাব ও পুলিশকে টহলও দিতে দেখা গেছে। কোথাও কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার জানান, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নগরীতে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয় বৃহস্পতিবার। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে জেলা প্রশাসন। তবে যদি প্রয়োজন হয় বিজিবি চাওয়া হবে। বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, নগরবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নগরীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে বরিশালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাড়িতে হামলা-পরবর্তী ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) নগরীতে কিছুটা থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করলেও আজ পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখা গেছে।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ