বয়স্কদের ইউটিউব মানেই নস্টালজিয়া

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ইউটিউব চ্যানেল যে শুধু তরুণরাই চলাবেন এমন কোনো কথা নেই। ভিডিও ব্লগারদের (ভ্লগার) অনেকেই আছেন যাদের বয়স ৪০ এর ঊর্ধ্বে। ভ্লগাররা  সাধারণত ভিডিও কনটেন্ট তৈরির পাশাপাশি  ব্লগও লিখে থাকেন।

তবে এক গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণদের চেয়ে বয়স্ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ইউটিউব চ্যানেল খোলার হার বেশ কম।

আর ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যবহারকারীরা ইউটিউবে চ্যানেল খোলেন সবচেয়ে কম। তরুণদের তুলনায় কম ইন্টারনেট ব্যবহার করা এর একটি কারণ হতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, তারা সৃষ্টিশীল কিছু আপলোড করার চেয়ে ইউটিউব চালু করে নস্টালজিয়ায় ভুগতেই বেশি পছন্দ করেন। নিজেদের শখ বা অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে তারা ইউটিউব চ্যানেল খুলতে আগ্রহী নন।

যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান এনআরএস হেলথকেয়ারের গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের তথ্য মতে, ২০১১ সালে যাদের বয়স ৬৪ থেকে ৭৪ বছর ছিলো তাদের ইন্টারনেট ব্যবহার করার হার ছিলো ৫২ শতাংশ। চলতি বছর এই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ শতাংশে।

৫৫ বছর বয়সীদের মধ্যে ইউটিউব দেখার হারও অনেক বেশি। প্রায় ৯৫ শতাংশ। কিন্তু ইউটিউব চ্যানেল খোলার ব্যাপারে তারা বেশ পিছিয়ে আছেন।

তবে ব্যতিক্রম কিছু উদাহরণও আছে। যেমন ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা মাস্থানামা ১০৭ বছর বয়সেও ইউটিউব চ্যানেল চালান। চ্যানেলটিতে তার সাবস্ক্রাইবার আছেন ১২ লাখ। তিনি মূলত ঐতিহ্যবাহী রান্নাগুলোই ইউটিউবে দেখান।

টিম রয়েট নামে এক ইউটিউবার আছেন যার বয়স ৭৬ বছর। তার শখ হচ্ছে খেলনা সংগ্রহ করা। তার সংগ্রহে আছে ২০ হাজার খেলনা। তার গ্র্যান্ড ইলিউশন চ্যানেলটির সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা সাড়ে আট লাখ।

গ্রামমা ও গিঞ্জা নামে দুই বোন একটি ইউটিউব চ্যানেল চালান। তাদের বয়স যথাক্রমে ১০৪ বছর ও ৯৯ বছর। তাদের প্রতিদিনের কথোপকথন নিয়েই সাজানো হয়েছে ইউটিউব চ্যানেলটি। তাদের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা তিন লাখ।