বড় হারের শঙ্কায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ

সিল্কসিটিনিউজ ক্রীড়া ডেস্ক:

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেষবার বল করেছেন ২০১৫ বিশ্বকাপে। তাও হাঁটুর ইনজুরি নিয়ে। এবারের আইপিএলেও খেলতে পারেননি। ভারতীয় বোর্ড দিয়েছে ক্ষতিপূরণ। তাকে বারবার ফেরানোর চেষ্টা সফল হচ্ছিল না। শেষে সরাসরি খেলতে নামলেন অ্যান্টিগা টেস্টে। আর কেন মোহাম্মদ শামিকে নিয়ে এত চেষ্টা তা পেসার বুঝিয়ে দিলেন প্রথম সুযোগেই। ব্যঅটসম্যানদের পিচে দারুণ বল করে ৪ উইকেট নিলেন। তার সাথে হাত মিলিয়ে উমেষ যাদবও শিকার করলেন চারটি। আর তাতে ফলো অন করতে বাধ্য হলো স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বড় হারের শঙ্কায় তারা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফলো অনে নামে ৩২৩ রানে পিছিয়ে থেকে। ইশান্ত শর্মা এরপর প্রথম ওভারেই ক্রেগ ব্রাথওয়েটকে দ্রুত তুলে নেন। এই ওপেনার প্রথম ইনিংসে ২১৮ বল খেলেছিলেন। সব মিলিয়ে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষে ৩০২ রানে পিছিয়ে ক্যারিবিয়ানরা। আছে ৯ উইকেট। ভারতের ৮ উইকেটে ৫৬৬ রানের ইনিংস ঘোষণার জবাবে প্রথম ইনিংসে তারা অল আউট ২৪৩ রানে। ১ উইকেটে ২১ রান দ্বিতীয় ইনিংসের সংগ্রহ।

ম্যাচ জিততে ২০ উইকেট দরকার। কিন্তু শনিবার ভারতের বোলারদের শুরুটা সহজ ছিল না। দেবেন্দ্র বিশু (১২) নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ছিলেন ক্রেগের সাথে ১৬ ওভারের হতাশা তারা দিলেন ভারতকে। লেগ স্পিনার অমিত মিশ্রা বিশুকে আউট করে ব্রেকথ্রু দেন। ড্যারেন ব্রাভোকে (১১) দিয়ে লাঞ্চের পর শিকার শুরু শামির। এরপর দ্রুতই ১৪৪ রানে ৭ উইকেট হারানো দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মারলন স্যামুয়েলস ও জারমেইন ব্ল্যাকউডকে একই ওভারে তুলে নেন শামি।

এরপর দায়িত্ব নেন যাদব। ৪৬ রানের জুটি হয়েছিল ক্রেগ ও রোস্টোন চেজের মধ্যে। পর পর দুই ওভারে এই দুই সেট ব্যাটসম্যানকে ফেরৎ পাঠান যাদব। ক্রেগ ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেছেন। ২৩ রান চেজের। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান শেন ডরইউচ ও অধিনায়ক জ্যাসন হোল্ডার অষ্টম উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন। তাদের ৬৯ রানের জুটি ভেঙেছেন যাদবই। হোল্ডারের (৩৬) পর কার্লোস ব্রাথওয়েটকে (০) তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেছিলেন যাদব। তা না হলেও বেশি আর এগোতে পারেনি ক্যারিবিয়ানরা। ৫৭ রানে অপরাজিত থেকে যান ডরইউচ। শামি ও যাদবের মিলিত ৮ উইকেটের ইনিংসের বাকি ২ উইকেট মিশ্রার। অবাক করা ব্যাপার, ১৭ ওভার বল করলেও উইকেট মেলেনি রবিচন্দ্রন অশ্বিনের।

সূত্র: কালের কণ্ঠ