বড় তারকাদের নিয়ে ছবি ‘আনচার্টেড’ মুক্তি পাচ্ছে বাংলাদেশেও

আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছে রুবেন ফ্লেইশার পরিচালিত অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার ছবি ‘আনচার্টেড’। বড় তারকারা থাকায় ছবিটি নিয়ে ভক্তরা অপেক্ষায় আছেন অনেকদিন। ‘আনচার্টেড’ নিয়ে লিখেছেন মামুনুর রশিদ

‘আনচার্টেড’ সিনেমার মূল ভিত্তি হলো একই নামের ভিডিও গেম সিরিজ। লুকানো গুপ্তধন খোঁজা, বিশাল ষড়যন্ত্রকারী চক্রের বাঁধা—সবমিলিয়ে দর্শকদের বিনোদন দেওয়ার মতো সব আয়োজনই আছে ছবিতে।

আরো আছে পুলিশের বাঁধা, ভাই হারানোর রহস্য।

kalerkantho

গুপ্তধনশিকারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন ‘স্পাইডার-ম্যান’ খ্যাত টম হল্যান্ড আর ‘ট্রান্সফরমারস’ সিরিজের মার্ক ওয়ালবার্গ। ছবিতে তাঁর বের এখন পর্যন্ত খুঁজে না পাওয়া সবচেয়ে প্রাচুর্যমন্ডিত গুপ্তধনের খোঁজে।

তাদের সবচেয়ে বড় বাঁধা সান্তিয়াগো মনকাডা। ভয়ঙ্কর ও বিপথগামী গুপ্তধন শিকারী সে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিখ্যাত স্প্যানিশ অভিনেতা আন্তোনিও বান্দেরাস। তিন নামী অভিনেতার সঙ্গে ছবিতে অভিনয় করেছেন সোফিয়া আলি এবং তাতি গ্যাব্রিয়েল।

kalerkantho

গেল কয়েক বছর ধরে ‘স্পাইডার-ম্যান’ সিরিজের ছবি দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হল্যান্ড। তবে এই ছবি তাঁকে দাঁড় করায় অন্যরকম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।

হল্যান্ড বলেন, “এই সিনেমা না করলে জানতামই না ‘স্পাইডার-ম্যান’ চরিত্রটা কত ভাগ্যমান। কারণ সেসব সিনেমার উড়াউড়ি শুধুই সিজিআই [কম্পিউটার জেনারেটেড ইমাজেনারি]। এখানে অ্যাকশন দৃশ্য করতে গায়ে গতরে খাটতে হয়। এসব অ্যাকশন যে কি কষ্টের জানতাম না। এই চরিত্র আমাকে ভেঙ্গেই ফেলেছিল। ”

kalerkantho

সিনেমায়, টম হল্যান্ডের চরিত্রটিই প্রথমে মার্ক ওয়ালবার্গের করার কথা ছিল। সেটা একটা ইতিহাসও বটে। কারণ ২০০৮ সালে সর্বপ্রথম এই সিনেমা তৈরির কাজ শুরু হয়। তারপর চিত্রনাট্যের টেবিলে যাওয়ার পর থেকে শুরুর শুরু হবার আগ পর্যন্ত বারবার অদলবদল হয়েছে অনেককিছুই। চিত্রনাট্যকার বদলেছে একাধিক দফায়।

পরিচালকের টেবিলে রুবেন ফ্লেইশারের নামটিও শুরুতে ছিল না। ডেভিড ও. রাসেল, সেথ গর্ডন, নীল বার্গার, শন লেভি; এদের প্রত্যেকেরই নাম জুড়েছিল প্রজেক্টটির সঙ্গে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালে ফ্লেইশারকেই চূড়ান্ত করা হয়, যিনি আগে ‘জম্বিল্যান্ড ১ ও ২’, ‘থার্টি মিনিটস অর লেস’, ‘ভেনম’ বানিয়েছিলেন।

kalerkantho

প্রথমদিকে এই সিনেমায় রবার্ট ডি নিরো, জো পেশি আর মার্ক ওয়ালবার্গের অভিনয় করার কথা ছিল। তখন পরিচালন হিসেবে চূড়ান্ত ছিলেন ডেভিড ও. রাসেল। কিন্তু শেষে শুধু টিকে রইলেন ওয়ালবার্গই। তিনি করেছেন ‘সালি’ চরিত্রটি। এই চরিত্রে তাঁর আগে ব্রায়ান ক্রান্সটন, জ্যাক জিলেনহাল, ক্রিস হেমসওয়ার্থ, ক্রিস পাইন, ম্যাথু ম্যাককনাহে, উডি হ্যারেলসন অনেকের কথাই ভাবা হয়।

গল্পের প্রকৃতির বিচারে ওয়ালবার্গ সিনেমাটিকে ‘ইন্ডিয়ানা জোনস’ আর ‘দ্য থমাস ক্রাউন এফেয়ার’ সিনেমার সঙ্গে তুলনা দিয়েছেন। এই কারণেই ছবিটি করতে চাননি রোগান। কারণ তাঁর মনে হয়েছিল এই ছবির চিত্রনাট্য লিখতে গেলেই আরেকটা ‘ইন্ডিয়ানা জোনস’ হবে।

বিশাল অদলবদল শুধু কাস্টিং, পরিচালনাতেই হয়নি। মুক্তি নিয়েও হয়েছে। সর্বপ্রথম মুক্তির কথা ছিল ২০১৬ সালে। এরপর ২০১৭ ও ২০২১ সালে, শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখছে আগামীকাল। বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশিরভাগ দেশে কাল মুক্তি পেলেও গেল সপ্তাহেই ছবি মুক্তি পেয়েছে কয়েকটি দেশে। সমালোচকদের কাছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে সিনেমাটি।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ