বড়পুকুরিয়া খনি মামলা খালেদা জিয়াকে ১০ আগস্ট আদালতে হাজিরের নির্দেশ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আগামী ১০ আগস্ট নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

 

আজ রোববার ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ হোসনে আরা বেগমের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানি ও খালেদা জিয়ার উপস্থিতির জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি বলে অভিযোগ গঠনের জন্য সময়ের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।

 

শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন নির্ধারণ করেন।

 

সানাউল্লাহ মিয়া সাংবাদিকদের জানান, ১০ আগস্ট খালেদা জিয়ার এ মামলাসহ আরো কয়েকটি মামলায় হাজিরের জন্য দিন রাখা হয়েছে। তাই ওই দিন তিনি সব মামলায় হাজিরা দেবেন।

 

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার অন্য আসামিরা হলেন—সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক  মঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন এবং সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক।

 

তবে আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও ব্যারিস্টার আমিনুল হকের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত রয়েছে।

 

১১ আসামির মধ্যে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ছাড়া বাকি আসামিরা জামিনে আছেন।

 

২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম মামলাটি করেন।

 

পরে দুদকের উপপরিচালক মো. আবুল কাসেম ওই বছরের ৫ অক্টোবর খালেদা জিয়াসহ ১৬ আসামির বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ১৬ আসামির মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আবদুল মান্নান ভূঁইয়া ও এম শামসুল ইসলাম মারা যাওয়ায় এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি হওয়ায় তাঁরা আসামি তালিকা থেকে বাদ গেছেন।

 

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন সানাউল্লাহ মিয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

 

মামলার নথি থেকে জানা যায়, কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হওয়ায় এ মামলা করা হয়।

সূত্র: এনটিভি