ব্রেনটনকে ক্রেডিট কার্ড মেশিন ছুড়ে মেরেছিলেন আজিজ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ক্রেডিট কার্ড মেশিন নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান বন্দুকধারী ব্রেনটন টেরেন্টকে ধাওয়া করেছিলেন আফগান শরণার্থী আবদুল আজিজ (৪৮)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, আফগান নাগরিক আজিজের সেদিনের প্রতিরোধ টেরেন্টের দ্বিতীয় আক্রমণকে অনেকখানিই খর্ব করেছিল।

আজিজ বলেন, শুক্রবার ১টা ৫৫ মিনিটে মসজিদ থেকে বের হই। নামাজ শেষে দেখতে এসেছিলাম বাইরে কী ঘটছে।

তখন সামরিক পোশাকে এবং মাথায় হেলমেট পরা ভারী অস্ত্র হাতে একজনকে দেখতে পাই। প্রথমে ভেবেছিলাম, তিনি পুলিশ কর্মকর্তা হবেন।

‘এর পর দুটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পাই। এ ছাড়া হামলাকারী মুসল্লিদের প্রতি অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করছিলেন। তখন আমি বুঝতে পারলাম- কিছু একটা ঘটেছে। এটা একটা খুনি।’

তিনি বলেন, মুসল্লিরা তখন ইতস্তত বোধ করছিলেন। তখন বন্দুকধারী ওই সন্ত্রাসী গুলি করলে জানালা চুরমার হয়ে যায় এবং একটি লাশ পড়ে। লোকজন বুঝতে শুরু করেন, সত্যিকার কিছু একটা ঘটছে।

মসজিদে হামলা হয়েছে বুঝতে পারার পর পরই আমি হাতের কাছে পাওয়া একটি ক্রেডিট কার্ড মেশিনকে অস্ত্র বানিয়ে টেরেন্টকে ধাওয়া করি।

এর পর টেরেন্ট তার গাড়িতে ফিরে যান ও অন্য একটি বন্দুক নেন। অস্ট্রেলিয়ান এ নাগরিক যখন ফের গুলি ছোড়েন মাথা বাঁচাতে আজিজ তখন দুই গাড়ির মাঝখানে আশ্রয় নেন।

মধ্যবয়স্ক এ মুসল্লি এর পর টেরেন্টের ফেলে দেয়া একটি বন্দুক তুলে নিয়ে হামলাকারীকে লক্ষ্য করে ট্রিগারে চাপ দেন, বুঝতে পারেন ট্রিগারটি একেবারেই শূন্য।

আজিজ বলেন, ‘আমি তার দিকে তাকিয়ে চিৎকার করছিলাম। চেষ্টা করেছিলাম, তার মনোযোগ যেন আমার দিকে থাকে।’

এর পর দুই পুলিশ কর্মকর্তা তার গাড়ির পেছনে ধাওয়া করে হামলার ৩৬ মিনিটের মধ্যেই তাকে আটক করেন।

আবদুল আজিজও তিন দশক অস্ট্রেলিয়ায় বাস করছেন। কয়েক বছর আগে তিনি ক্রাইস্টচার্চে আসেন।

প্রসঙ্গত শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত এক শেতাঙ্গ জঙ্গি বন্দুক হামলা চালায়।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ জনে। এ ছাড়া আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রায় অর্ধশত মানুষ।